ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

আমনের ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
আমনের ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

বরিশাল: বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় এবারের আমনের ফলনে কৃষকদের পাশাপাশি খুশি কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

আর বাজার দর ভালো পেলে কষ্ট লাঘব হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার কৃষক আলী আহম্মদ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারে আমন ক্ষেতের ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আর পোকার সংক্রমণও তেমন একটা ছিল না।

উপজেলার কৃষকরা এবার বেশ ভালো ধান পেয়েছেন। বর্তমান বাজারে সব ধান বিক্রি হলে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন বলে জানান এই কৃষক।

বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক মো. হারুন-অর রশিদ জানিয়েছেন, বিভাগের ছয় জেলা—পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা ও বরিশালে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল উৎপাদন হয়েছে।

অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বরিশাল বিভাগে আমন, আউশ, বোরো মিলিয়ে প্রায় ২৭ লাখ মে. টন চালের উৎপাদন হয়। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ধারাবাহিক ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কারণে আমনে বেশ ক্ষতির পরেও আগের বছরের চেয়ে উৎপাদন ১ লাখ মে. টন বৃদ্ধি পেয়ে তিন মৌসুম মিলিয়ে বিভাগে প্রায় ২৮ লাখ মে. টন চাল উৎপাদন হয়েছিল। আর ২০২০-২১ অর্থ বছরে সেই উৎপাদন সাড়ে ৩ লাখ মে. টনের বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৫ মে. টন।

এর মধ্যে চলতি বছর বিভাগে আমন উৎপাদন হয়েছে ১৭ লাখ ৯৪ হাজার ৩৭০ মে. টন, আউশ ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৫ মে. টন এবং বোরো ৭ লাখ ১৪ হাজার ৮১৩ মে. টন।

লবণাক্ততা, অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টি ছাড়াও ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে দক্ষিণাঞ্চলে গত কয়েক বছর ধরে খাদ্য উৎপাদনের অগ্রগতিতে খুশি কৃষিবিদরা।

বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক মো. হারুন-অর রশিদ জানান, বাংলার শস্যভান্ডার হিসেবে বরিশাল অঞ্চলের পুরনো খ্যাতি আবার ফিরতে শুরু করেছে। টানা তিন বছর এ অঞ্চলের চাল ও অন্য শস্যের উৎপাদন বেড়েই চলেছে। কৃষকদের প্রচেষ্টা এবং কৃষি বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ, নতুন নতুন প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, সুবিধা ও সরকারের প্রণোদনা বৃদ্ধির কারণেই এ সাফল্য অর্জিত হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাকালীন সংকট মুহূর্তে সারা বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সস্প্রতি এ নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি পরিমাণ জমিও ফাঁকা রাখতে নিষেধ করেছেন। এ অবস্থায় বরিশাল বিভাগে চলতি বছর আমন, বোরো, আউশ—এই তিন ফসল মিলিয়ে সাড়ে তিন লাখ মে. টন অতিরিক্ত চাল উৎপাদন হওয়ায় নতুন আশা যোগাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।