গত কয়েকদিন ধরে মেঘনার ভাসনভাঙ্গার পয়েন্ট দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসন কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এতে নদীতীরবর্তী এলাকা হুমকির মুখে পড়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, বালু উত্তোলনকারীরা প্রতিদিন কয়েক হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করছে। অথচ এদের বালু উত্তোলনের জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো অনুমোদন নেই।
চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দারা সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ড্রেজার মেশিন চালিয়ে ব্লক তৈরি করার নামে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ কারণে এলাকাবাসী খুব উদ্বেগের মধ্যে আছেন। এভাবে বালু তুলতে থাকলে নদীতে ঘরবাড়ি সব বিলীন হয়ে যাবে। কারণ বালু উত্তোলনের স্থান থেকে জনবসতিরপূর্ণ এলাকা শশীগঞ্জ মাছঘাট মাত্র অর্থেক কিলোমিটার দূরেই।
বালু উত্তোলনকারী কয়েকজন শ্রমিক জানান, নদী থেকে যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তা তারা শহররক্ষা বাঁধের জন্য ব্লক নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করছেন। তবে এজন্য কোনো অনুমোদন রয়েছে কিনা তার কোনো উত্তর দেননি তারা।
এদিকে মেঘনায় অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় সবুজ বনায়ন এলাকার বনসহ নদীতীরবর্তী বহু লোকের জমিজমা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই অবিলম্বের নদী থেকে বালি উত্তোলন বন্ধের দাবী করেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে যে স্থানটিতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেখানেই ভাসান ভাঙ্গর চর নামে একটি ছোট দ্বীপচর রয়েছে। সেখানে বন বিভাগের কেওড়া, আকাশমণি, সুন্দরী, গোলপাতাগাছ ও রেনট্রিসহ আরো বিভিন্ন ধরনের সবুজ গাছগাছালি রয়েছে, এসব সবুজের বেষ্টনী এখন হুমকির মুখে।
তজুমদ্দিন বনবিভাগের শশীগঞ্জ বিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, এভাবে বালি উত্তোলন করা হলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ভাঙ্গন আরো তীব্রতর হবে। এতে করে আগামী বর্ষায় ভাসন ভাঙ্গার চর হুমকির মুখে পড়বে।
এ ব্যাপারে তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন, নদী থেকে বালি উত্তোলনের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
জেএম/