সরেজমিনে গেলে দেখা গেছে, ধীরগতিতে চলছে রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে পাথরঘাটার যোগাযোগের মাধ্যম ব্যস্ততম পাথরঘাটা-কাকচিড়া সড়কটি। এ সড়কের উপজেলার বিভিন্ন অংশে খোঁড়াখুঁড়ি করে মাঝে মাঝে মেরামত করা হয়।
এ রুটে নিয়মিত চলাচল করেন পাথরঘাটা স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের ছাত্রসহ অসংখ্য লোকজন। তারা অভিযোগ করে বলেন, মূল সড়কের কাজ মাঝে মাঝে করে আবার কিছু কিছু অংশ রেখে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ভারী বর্ষণে ওই রেখে দেওয়া অংশে তৈরি খানা-খন্দে পুরো সড়কটিই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে বেড়েছে দুর্ঘটনা। ভাঙা রাস্তায় গাড়ি আটকে থাকে প্রতিনিয়ত। এক গাড়ি অন্য গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে সড়কটির কোথাও না কোথাও খাঁদে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।
এ রাস্তায় যাতায়াতকারী গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মী ইলিয়াস শাহী ও পাথরঘাটার কম্পিউটার ব্যাবসায়ী ফোরকান সিকদার বলেন, সড়ক সংস্কারের ২০ থেকে ২৫ দিনের মাথায় এমন অবস্থা হয়েছে যে, এখন রাস্তায় ধানের বীজ রোপণ করা যায়। বড় কোনো বাস বা ট্রাক এলে আর সামনে এগোতে পারে না।
মাহিন্দ্র চালক আবু বকর বলেন, সড়ক সংস্কারের ২০ দিনেই আগের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের ভাঙা অংশ ফেলে রাখায় ছোট পাথরঘাটা সাইক্লোন শেল্টার, কমিউনিটি সেন্টার, সোনালী বাজার, আমড়াতলা, খ্রিস্টানবাড়ি, কামারহাট, জালিয়াঘাটা, কাটাখালী, গুদিঘাটা, কাকচিড়া বোর্ডঘর, কাকচিড়া বাসস্ট্যান্ড ও কাকচিড়া বাজারের অধিকাংশ স্থানের মূল সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
কবে নাগাদ পুরো কাজ সম্পন্ন হবে তা বলতে পারছেন না কেউ। ফলে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন বাংলানিউজকে বলেন, ‘এর আগে সড়কটি মেরামত করা হয়েছে। ফের মেরামতের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি’।
বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে ও সরাসরি সাক্ষাতের চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এএসআর