এদিন জেলার কুকরী-মুকরী, ঢালচর, চর পাতিলাসহ নিচু এলাকায় ৪/৫ ফুট জলোচ্ছ্বাস হয়েছিলো। সেইদিনের কথা মনে করে আজো আঁতকে ওঠেন উপকূলের মানুষ।
ভোলার সুশীল সমাজের সদস্য অ্যাডভোকেট নজরুল হক অনু জানান, সেদিন সারাদিন ধরে ঝড়ো বাতাস আর বৃষ্টি হলেও রাত ১২টার পর শুরু হয় তুমুল ঝড়। এসময় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উপকূলের মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসেন।
ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বেতারের প্রতিনিধি এম হাবিবুর রহমান জানান, ঝড়ে এ জেলায় ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিলো তবে তা অন্য জেলার তুলনায় কম। তখন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছিলো।
প্রবীণ সাংবাদিক এমএ তাহের বলেন, সেই ঝড়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল, ভোলাতেও ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিলো তবে কারো প্রাণহানি হয়নি। সেই ঝড়ের কথা মনে করে আজো ভয়ে কেঁদে ওঠে উপকূলের মানুষ।
এদিকে, উপকূলের উপর দিয়ে একের পর ঝড় বয়ে গেলেও আজো অরক্ষিত উপকূলের মানুষ। নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার বা মাটির কিল্লা। এতে দুর্যোগকালীন মূল ভু-খণ্ডের বাইরের মানুষগুলো অরক্ষিত অবস্থায় থাকে।
সূত্র জানায়, জেলার মোট বাসিন্দা প্রায় ১৮ লাখ। সে হিসেবে জেলায় সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে ৫৭৯টি। এর মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলায় ১৫০, বোরহানউদ্দিনে ১০২, ভোলা সদরে ৭৫, দৌলতখানে ৪৯, মনপুরায় ৬৩, লালমোহনে ৮৭, তজুমদ্দিনে ৫৩। এসব সাইক্লোন শেল্টার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে।
এছাড়া জেলার সাত উপজেলায় মোট ৫১টি মাটির কিল্লা রয়েছে। তবে এসব কিল্লার মধ্যে অধিকাংশ ব্যবহার অনুপযোগী তাই এসবের সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভোলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিসিপি) উপ-পরিচালক সাহাবুদ্দিন জানান, এপ্রিল-মে এবং অক্টোবর-নভেম্বর কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড়ের সময়। আমরা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি। আমাদের ১০ হাজার ২০০ সিসিপি কর্মী প্রস্তুত আছে, তারা এলাকা ঘুরে যথাসময়ে সতর্কবার্তা পৌঁছে দেন। তবে আমাদের আরও কিছু আধুনিকায়ন দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৮
আরএ