তবে ঈদকে সামনে রেখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে সাগরে মাছ শিকারের জন্য যাত্রা করলেও বৈরী আবহাওয়ায় ভারী বর্ষণ ও সাগর উত্তাল থাকায় ঈদ আনন্দ ম্লান হওয়ার আশঙ্কা করছেন জেলেরা।
জ্যৈষ্ঠের শুরু থেকেই ইলিশের মৌসুম শুরু হয়।
মাছ শিকার করবেন সেই টাকা দিয়ে পবিত্র ঈদে পরিবার-পরিজন এবং সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাবেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে মাছ শিকাররত জেলে ও জেলেদের স্বজনদের মধ্যে ইতোমধ্যেই ঈদ আনন্দ ম্লানের ছাপ পড়েছে।
ট্রলার মালিক এবং আড়তদারদের মতে এখন ইলিশের মৌসুম, তারা অনেক আশা নিয়েই জেলেদের সাগরে পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাদের মুখেও হতাশার ছাপ পড়েছে। মৎস্য আড়তদার, ট্রলার মালিক, পাইকার ও একাধিক বাসিন্দাদের মতে, সাগরে মাছ শিকারের সঙ্গে তাদের জীবনযাত্রা নির্ভরশীল হওয়ায় এবার ঈদে তেমন আনন্দের প্রভাব পড়বে না।
উপকূলবর্তী উপজেলা পাথরঘাটার শতকরা ৯০ ভাগ অর্থনৈতিক যোগান আসে মৎস্য সেক্টর থেকে। এ কারণে এখন পর্যন্ত জেলেদের জালে মাছ না পড়ায় ঈদ বাজারেও তেমন প্রভাব পড়ছে না। সকাল থেকে দুপুর হয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত বাজারে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলা রাখলেও ক্রেতা শূন্য দেখা যায় ঈদ বাজার। ট্রলার মালিক আবদুল্লাহ হাওলাদার ও জাকির মাঝি বলেন, চারদিন আগে ট্রলার সাগরে পাঠিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফিরে আসেনি।
কালমেঘা গ্রামের আব্দুল মালেকের স্বজনরা জানান, ফিরে এসে ঈদের কাপড় কিনবে বলে সাগরে মাছ ধরতে গেছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, জ্যৈষ্ঠের শুরু থেকেই ইলিশের মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু এবার ঈদকে সামনে রেখে ১০/১২ দিন আগেই সাগরে পাঠানো হয়েছে ট্রলার। ইতোমধ্যে যে ট্রলারগুলো ফিরে এসেছে তার মধ্যে দু/একটি ট্রলার মোটামুটি মাছ পেলেও অধিকাংশ ট্রলারের বাজার সদায়ের খরচই উঠবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
আরএ