বাঁধের বাইরে নিচু এলাকায় পানি ঢুকে এসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও এলাকাবাসী জানিয়েছে।
জোয়ারের পানির কারণে রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে জোয়ারে ইলিশা ফেরি ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় পরিবহন ওঠা-নামা করতে পারছেনা। উভয় পাড়ে আটকে আছে শতাধিক যানবাহন। এতে দুর্ভোগে পড়েছে পরিবহন শ্রমিকরা।
চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলিয়ার জোয়ারে চরফ্যাশনের মুজিবনগর ইউনিয়নের চর মোতাহার পয়েন্টে দিয়ে পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বাঁধ না থাকায় ঢালচর ও চর পাতিলা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে কুকরী-মুকরীর বাঁধের বাইরে বেশ কিছু এলাকায় পানি ঢুকেছে স্লুইজ গেটের অভাবে। অন্যদিকে মনপুরার কলাতলীর চর ও চর নিজামের বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার বাংলানিউজকে জানান, জোয়ারের পানিতে পুরো ইউনিয়নের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বাঁধ না থাকায় গত তিন দিন ধরে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুল-কালভাট। ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ।
কুকরী-মুকরী ইউপি সচিব মোকাম্মেল বাংলানিউজকে জানান, চর পাতিলা ও কুকরী-মুকরী বাঁধের বাইরের ৩ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। গত দু’দিন ধরে জোয়ারের পানি ঢুকে ওইসব এলাকা প্লাবিত হয়।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (ডিভিশন-২) নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার মেঘনার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং তেঁতুলিয়ার পানি ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
তিনি বলেন, চর মতোহার পয়েন্টে ১ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাব অনুমোদনের অপক্ষায় রয়েছে।
তজুমদ্দিন উপজেলার সদরের চাঁদপুর ইউনিয়নের দালাল কান্দি, মাওলানা কান্দি ও চৌকিদার কান্দি প্লাবিত হয়েছে। পুরাতন বাঁধ ভেঙে চতুর্থ দিনের মতো সেখানকার ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ভোলা সদরের রাজাপুর, রামদাসপুর, মাঝের চর, দৌলতখানের মদনপুরসহ বেশ কিছু নিচু ও বাঁধের বাইরের এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
এসআরএস