জোয়ারের পানি ঠেকাতে উপজেলাটিতে বর্তমানে পর্যাপ্ত বেড়িবাঁধ নেই। ফলে মেঘনা উপকূল এখন অরক্ষিত।
তীব্র জোয়ারের আঘাতে কাঁচা-পাকা অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে অল্প দিনেই সড়ক নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।
অপরদিকে, বেড়িবাঁধ না থাকায় অব্যাহত ভাঙনের মুখে হুমকির মধ্যে রয়েছে কমলনগর উপজেলা কমপ্লেক্সসহ সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা।
স্থানীয় নাছিরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, জোয়ার এলেই বাজারে পানি উঠে। হাটে মানুষ আসতে পারে না। এতে ব্যবসার মারাত্মক ক্ষতি হয়।
চরমার্টিন এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জুনাইদ আল হাবীব বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে জোয়ারের সময় মেঘনা উপকূল অরক্ষিত হয়ে পড়ে। জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয় জমির ফসল। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার সাইফুল্লাহ বলেন, জোয়ার পানিতে আমার ইউনিয়ন এখন ডুবে আছে। রাস্তাঘাটে চলাচল করা যাচ্ছে না। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জোয়ারে রাস্তাঘাটে ব্যাপক ক্ষতি হয়। যে কারণে প্রতিবছরই ওইসব রাস্তাঘাট সংস্কার করতে হয়।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, জোয়ার ঠেকানোর জন্য মজবুত বেড়িবাঁধ দরকার। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা সমন্বয় সভাতে উপস্থাপন করা হবে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসা বলেন, কমলনগর রক্ষায় এক কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এটুকু বাঁধ যথেষ্ট নয়। ভাঙন প্রতিরোধে ও জোয়ারের পানি ঠেকাতে আরো সাড়ে ১৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এসআর/এমআইএইচ/আরএ