শনিবার (৬ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টা থেকে এ অভিযান শুরু হবে।
মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, টানা ২২ দিনের এ নিষেধাজ্ঞার কারণে সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণসহ বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে এ কর্মহীন সময় উপকূলের জেলেদের সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রনোদনা দেওয়া হয় তা বাড়ানো, প্রকৃত জেলেদের মধ্যে সহায়তা বিতরণের দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়ায় অখুশি নন উপকূলের জেলেরা।
বরিশালের মৎস্য বন্দর আলীপুরের এফবি নুরজামাল ট্রলারের মাঝি সবুজ গাজীর মতে অনেক ইলিশ শিকারি জেলে এখনো সহায়তা পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, যারা ছোট ছোট জাল নিয়ে নদী বা খালে অন্য মাছ শিকার করে তারা কিন্তু সহায়তা পাচ্ছেন। এতে করে ইলিশ শিকারি জেলেরা হচ্ছেন বঞ্চিত এবং নিষেধাজ্ঞার সময় কষ্টে জীবন কাটাচ্ছেন তারা।
কুয়াকাটা-অলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি ও ট্রলার মালিক সমিতি সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, ইলিশ সংরক্ষণ করতে গিয়ে অন্য মাছের উৎপাদনও বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। যার সুফল ভোগ করবে জেলেসহ ব্যবসায়ীরা। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বেশিরভাগ জেলে অবগত হওয়ায় এখন আর মা ইলিশ শিকার করতে চায় না তারা। তবে এ সময়ে জেলেদের যে সহায়তা দেওয়া হয় তা খুবই নগন্য। জেলেদের সহায়তা বাড়ানো উচিত।
মৎস অধিদফতর বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মো. ওয়াহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বরিশাল বিভাগে মোট ৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ জেলেদের মধ্যে দুই লাখ ২৭ হাজার ৯৪৩টি জেলে পরিবারকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। পরিমাণ না বাড়লেও আরও বেশি জেলেকে সহায়তা করার চিন্তাভাবনা সরকারের রয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, সবাই নিজ থেকেই সচেতন হচ্ছেন। বর্তমানে নিয়ম ও আইন-কানুন মেনে চলার চেষ্টা করছেন জেলেরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এমএস/আরআইএস/