ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাত থেকে রক্ষা করতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হবে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থেকেও নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চাইবেন না, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় জোর করে হলেও সরিয়ে নেওয়া হবে তাদের।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাদ বিন করিমের কার্যালয়ের সাথে ফেনী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান।
এ সময় সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজজামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পি কে এম এনামুল করিম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (উপ-পরিচালক) মো. জয়েন উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন সুলতানা, ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁঞাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, জেলায় ৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে সমুদ্র উপকূলীয় ৫০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ৪৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাত থেকে রক্ষা করতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হবে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থেকেও নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চাইবেন না, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় জোর করে হলেও সরিয়ে নেওয়া হবে তাদের।
তিনি বলেন, দুর্গতদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার, ঔষধ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রয়েছে- দুই’শ মেট্রিকটন চাউল, দুই হাজার বস্তা শুকনা খাবারের মধ্যে পাঁচশ বস্তা শুকনো খাবার সোনাগাজী উপজেলায় স্ব-স্ব কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৭৮টি মেডিকেল টিম। একটি টিমে চিকিৎসকসহ পাঁচ জন করে সদস্য রয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ পরবর্তী সময় মোকাবেলা করতেও বিশেষ ব্যবস্থা নিতে টিম মাঠে রয়েছে।
তিনি জানান, উপকূলীয় এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। ৭নং সিগনাল পাওয়ার পর ঘরবাড়ি থেকে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বিকেল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্যে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এসএইচডি/এমএমএস