ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

উপকূল থেকে উপকূল

আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে ভোলার উপকূলে প্রচারণা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৯
আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে ভোলার উপকূলে প্রচারণা

ভোলা: আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছে ভোলার উপকূলের বাসিন্দাদের। পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত জেলার সব নৌ রুটের নৌ যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় খোলা হয়েছে ৬৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র। এ ছাড়াও ৩৯টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  

ভোলা সিপিপির উপ-পরিচালক সাহাবুদ্দিন মিয়া জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর সংকেত ৪ থেকে বাড়িয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাই আমরা উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় আসতে বলেছি।

সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ভারী ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রাত ৭টা পর্যন্ত জেলায় ৫.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ভোলা আবহাওয়ায় অফিসের সিনিয়র অবজারভার মাহাবুবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং শনিবার দুপুরের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি: ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় জেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে। এছাড়াও সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী ও শুকনো খাবার। এছাড়াও ৯২টি মেডিক্যাল টিম, ৬৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।

সন্ধ্যার পর  ঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতিমূলক জরুরি সভা করেছে জেলা প্রশাসন। ওই সভায় ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ঝড় মোকাবিলায় জেলা জুড়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ  সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।