বুধবার (২০ মে) দিনগত রাতে ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এ ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত আনোয়ার শাহ বাংলানিউজকে বলেন, রাতে মুষলধারে বৃষ্টি ও বাতাসে আমার ঘরসহ আশপাশের অনেকের বসতঘর পড়ে গেছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হালিম শাহ বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র বাতাসে আমার এলাকার বেশকিছু কাঁচা ঘরবাড়ি পড়ে গেছে, উড়িয়ে নিয়ে গেছে ঘরের টিনের ছাউনি। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। নদীর পানির চাপে বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থানও ভেঙে গেছে। ফলে সাউথখালী, দক্ষিণ সাউথখালী, তেরাবেকা, বগী, গাবতলীসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের ও পুকুরের মাছ।
শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্ত বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকাল থেকে এলাকায় ঘুরে ঘুরে দেখছি। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়েছে বিভিন্ন এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি। কিছু পুকুর ও মাছের ঘের ভেসে গেছে। সাউথখালী ইউনিয়নের বগি ও গাবতলা এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কয়েকটি জায়গা ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। দিনের জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলে আরও বেশি ক্ষতি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
এসআরএস