বুধবার (২০ মে) রাতে পাউবো বাগেরহাটের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলার বগী-গাবতলা অংশের ২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থান ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে বাঁধের আশপাশের কয়েকটি গ্রামের নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে ভাঙা বাঁধ দিয়ে পুনরায় জোয়ারের পানি ঢুকে আবারও লোকালয় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
জেলার রামপাল উপজেলার ননী গোপাল বাংলানিউজকে বলেন, রাতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে আমার বসতঘর ভেঙে পড়েছে। ঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে মাছের ঘের। উপজেলায় আমার মতো অনেকের ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়াসহ ভেসে গেছে মৎস্য ঘের। এতে উপজেলার মাছ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলার কচুয়া উপজেলার মাছ চাষি রুহুল বাংলানিউজকে বলেন, রাতে ঝড়ের আঘাতে বাড়ির কয়েকটি গাছ ও গোয়ালঘর পড়ে গেছে। এলাকার অনেকের মৎস্য ঘেরও ভেসে গেছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি পড়ে গেছে, উড়িয়ে নিয়ে গেছে ঘরের টিনের ছাউনি। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। নদীর পানির চাপে বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থানও ভেঙে গেছে। ফলে সাউথখালী, দক্ষিণ সাউথখালী, তেরাবেকা, বগী, গাবতলীসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পাউবো বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান খান বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রিং বেড়িবাঁধ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা উপজেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তারা মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, আম্পানে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা নিরূপণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
** আম্পান: শরণখোলায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
এসআরএস