ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উপকূল থেকে উপকূল

বরগুনায় ২৯ কিমি বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ, দুশ্চিন্তায় স্থানীয়রা

শফিকুল ইসলাম খোকন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
বরগুনায় ২৯ কিমি বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ, দুশ্চিন্তায় স্থানীয়রা

বরগুনা: দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা বরগুনা। ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় এসব এলাকার একমাত্র রক্ষাকবচ বেড়িবাঁধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে স্থানীয়রা।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর ক্ষয়ক্ষতির চেয়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে ক্ষতি বেশি হবে বলে ধারণা করছেন উপকূলীয় এলাকার মানুষ।

বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা এ জেলার বুক চিরে বয়ে গেছে বলেশ্বর, বিষখালী ও খরস্রোতা পায়রা নদী। ১৯৬০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বরগুনা জেলায় ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। উপকূলের বর্তমানে এ বেড়িবাঁধের মধ্যে ২৯ কিলোমিটার বাঁধ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ১৫ স্থানে ৬ দশমিক ৩২০ কিলোমিটার, আমতলী উপজেলায় ৫ দশমিক ২২০ কিলোমিটার, তালতলীত উপজেলায় ১ দশমিক ৯৫০ কিলোমিটার, পাথরঘাটায় ৮ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার, বামনা উপজেলায় ৬ দশমিক ৫১৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। পানির চাপে যে কোনো এসব সময় বাঁধ বিলিন হয়ে যেতে পারে।

পাথরঘাটা উপজেলার জিনতলা গ্রামের বাসিন্দা সোলায়মান জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবের পর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো খুব নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে আবার আরো একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। তাই এ এলাকায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

একই উপজেলার চরলাঠিমারা গ্রামের মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, আমাদের এখানে মাটির কোনো বাঁধ নেই। জিও ব্যাগে মাটি ভরে বাঁশের বেস্টনী তৈরি করে তা দিয়ে পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। এ দিয়ে কোনো ভাবেই পানি প্রবাহ বন্ধ করা সম্ভব নয়।  

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কাইছার আলম বাংলানিউজকে বলেন, জেলার ৬৫ স্থানের প্রায় ২৯ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে জেলার ২১ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা অর্থাভাবে সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জিও ব্যাগ, বালু এবং মাটি আমরা প্রস্তুত করে রেখেছি। যদি কোনো এলাকায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে তাহলে আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।