ভোলা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলায় মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ফের প্লাবিত হয়েছে জেলার অন্তত ৪০ গ্রাম।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুর ২টার দিকে মেঘনার পানি ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জোয়ারে তলিয়ে গেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। ভেঙে গেছে কাঁচা ঘর।
এছাড়াও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে সটড়ে ১৫ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ। এসব বাঁধ যেকোনো সময় ধ্বসে পড়ার আশঙ্কার করছেন এলাকাবাসী।
চরনিজাম, কলাতলীর চর, চরযতিন, চরজ্ঞান, কুলাগাজীর তালুক, কুকরি-মুকরি, ঢালচর, চরপাতিলা, মাঝেরচর, চরশাহজালাল, কচুয়াখালীরচরসহ ৪০ চর প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বাংলানিউজকে জানান, প্রবল জোয়ারে কুকরি-মুকরি ও চরপাতিলার বেশির ভাগ এলাকা ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, মেঘনার বিপৎসীমায় প্রবাহিত হওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২১
এসআরএস