ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উপকূল থেকে উপকূল

ভোলায় মেঘনার জোয়ারে তলিয়ে গেছে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২১
ভোলায় মেঘনার জোয়ারে তলিয়ে গেছে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা

ভোলা: ভোলায় মেঘনার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) মেঘনার পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সদর উপজেলার উপকূলবর্তী নাছির মাঝি, মনপুরার চরনিজাম, কলাতলীর চর, চর যতিন, চর জ্ঞান, চরফ্যাশনের কুকরি-মুকরি, ঢালচর, চর পাতিলা, মাঝের চর, চর শাহজালাল, কচুয়াখালীরচরসহ ২০ চর প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং পূর্ণিমার প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।  

তারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পঞ্চম দিনের মতো তলিয়ে গেছে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা।  

জোয়ারের পানিতে বাঁধের বাইরের অন্তত ২০টি নিচু এলাকা ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ। রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।

মেঘনার ধনিয়া এলাকার বাসিন্দা এরশাদ ফরাজি বলেন, জোয়ারের পানিতে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ। বাঁধের বাইরের এসব মানুষ গত এক সপ্তাহ ধরে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বলেন, গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিন পানিতে কুকরী-মুকরি ও চরপাতিলার বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাত হাজার মানুষ।

ঢালচরের বাসিন্দা কামাল বলেন, রাতের জোয়ারে পানিতে ঢালচর বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হলেও এখনো তেমন ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।