ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩২, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

ক্রিকেট

আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ 

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:৪৮, অক্টোবর ৬, ২০২৫
আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ  আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ 

আফগানদের বিপক্ষে টানা তৃতীয় জয়ে হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। শারজাহতে অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাটে-বলে দাপুটে নৈপুণ্যে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় জাকের আলীর দল।

পুরো সিরিজ জুড়েই আধিপত্য দেখানো বাংলাদেশ শেষ ম্যাচেও আফগানদের কোনো সুযোগ দেয়নি।

লক্ষ্য ছিল ১৪৪ রানের। তাড়া করতে নেমে শুরুটা সাবধানী হলেও, শেষটা রীতিমতো বিস্ফোরক করেন সাইফ হাসান। তিনি খেলেন ৩৮ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল ৭টি দৃষ্টিনন্দন ছক্কা। শেষদিকে একার ঝড়ে ম্যাচের গতি ঘুরিয়ে দেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

শুরুতে অবশ্য আফগান বোলারদের কিছুটা চাপে পড়ে টাইগাররা। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পারভেজ ইমনের ইনিংস থামে ১৬ বলে ১৪ রানে। মিড-অফে রশিদের হাতে ধরা পড়ে ফিরতে হয় তাকে। এরপর তানজিদ হাসানের সঙ্গে ৫৫ রানের কার্যকর জুটি গড়েন সাইফ। তানজিদ ৩৩ রান করে আউট হন আহমেদজাইয়ের বলে।

জাকের আলী ১০ রান করে রিভিউ বাঁচলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তার আউটের পরপরই শামীম পাটোয়ারীকে ফিরিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরায় আফগানিস্তান। কিন্তু ক্রিজে তখন জমে যান সাইফ হাসান।

একপর্যায়ে ১৫তম ওভারে কোনো রান না নিয়ে কিছুটা ধীর গতির মনে হলেও, ১৬তম ওভারে গতি বাড়ান তিনি। অভিষিক্ত বশির আহমেদের এক ওভারে হাঁকান টানা দুই ছক্কা। দ্রুতই পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ফিফটি।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু শুরুতেই জাদরানকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। এরপর নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে শামীম হোসেনের অসাধারণ ক্যাচে বিদায় নেন গুরবাজ। পাওয়ারপ্লে শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আফগান শিবির।

সেদিকুল্লাহ অটল কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ড্রিঙ্কস ব্রেকের পর ছন্দ হারান। মিডল ওভারে আফগান ব্যাটারদের বিপর্যয় আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে বাংলাদেশের টাইট বোলিংয়ে। একের পর এক ডট বল আর উইকেটের চাপে তারা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়।

মাত্র ৯৮ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। সেখান থেকে শেষদিকে দারউইস রাসুলি ও মুজিব উর রহমানের ছোট অথচ কার্যকর ইনিংসে তারা কোনোভাবে স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে ১৩২ রান। রাসুলি করেন ২৯ বলে ৩২ রান (২টি চার ও ১টি ছক্কা), আর মুজিব ১৮ বলে অপরাজিত ২৩ রান।

শেষদিকে এই দুই ব্যাটারের ৪৫ রানের দুটি ছোট পার্টনারশিপ কিছুটা লড়াই এনে দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।

এআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।