জয়ের জন্য শেষ বলে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৬ রান। কিন্তু হারিস রউফের ইয়র্কার বাউন্ডারি ছাড়া করতে পারেননি স্ট্রাইকে থাকা টম কারেন।
উত্তেজনায় ঠাঁসা ম্যাচটিতে ৫ রানে জিতে সিরিজ বাঁচিয়েছে পাকিস্তান। দু’দলের তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শেষ হলো ১-১ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচটি ৫ উইকেটে জিতেছিল ইংলিশরা।
মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) ম্যানচেস্টারে সিরিজের শেষ ম্যাচে মোহাম্মদ হাফিজের ঝড়ো ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯০ রান করে বাবর আজমের দল। জবাবে মঈন আলীর দানবীয় ইনিংস সত্ত্বেও ৮ উইকেটে ১৮৫ রান করে থেমে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওপেনার ফখর জামানকে (১) হারায় পাকিস্তান। পরে দলীয় ৩২ রানে বিদায় নেন বাবর (২১)। এরপরই শতরানের জুটি গড়েন ১৯ বছর বয়সী হায়দার আলী এবং ৩৯ বছরের হাফিজ। দুজনই খেলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। ৩৩ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রান করে ক্রিস জর্ডানের বলে বোল্ড হন হায়দার। তার আগে অবশ্য দারুণ এক কীর্তিই গড়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকেই প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে করেছেন ২৮ বলে ফিফটি।
সতীর্থকে হারালেও ইনিংসের শেষ পযর্ন্ত লড়ে যান হাফিজ। এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ৫২ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। যার মধ্যে ৪টি চারের পাশাপাশি ৬টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। শেষদিকে হাফিজকে সঙ্গ দেন শাদাব খান (১৫) এবং অপরাজিত থাকা ইমাদ ওয়াসিম (৬)।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৪ ওভারে ২৯ রান দিযে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন জর্ডান। বাকি দুই উইকেট ভাগাভাগি করেন মঈন ও কারেন।
১৯১ রান ও সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১ রান জমা করতেই প্রথম উইকেট হারায় ইংলিশরা। ওপেনার ও উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোকে বোল্ড করে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। পরে দলীয় ২৬ রানে ফেরেন ডেভিড মালান (৭)। দলকে চাপে রেখে দ্রুত বিদায় নেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান (১০)। দলের রান তখন ৬৫। স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৪ রান যোগ হতেই রউফের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন দুর্দান্ত খেলতে থাকা ওপেনার টম বার্টন (৪৬)।
সেখান থেকেই ইংল্যান্ডকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন মঈন। স্যাম বিলিংসকে (২৬) নিয়ে এগোতে থাকেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। কিন্তু সতীর্থদের সঙ্গে বড় কোনো জুটি গড়তে পারেননি তিনি। লুইস গ্রেগরি (১২), জর্ডান (১) দ্রুত বিদায় নিলে একাই লড়ে যান মঈন। ওয়াহাব রিয়াজের করা ইনিংসের ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৩ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ইংলিশদের জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান। কারেন ও আদিল রশিদ চেষ্টার কমতি করেননি। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে কারেনের ছক্কায় জয়ের স্বপ্ন দেখছিল তারা। কিন্তু শেষ বলে রউফের বল বাউন্ডারি ছাড়া করতে পারেননি তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি ও রিয়াজ। তবে অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা ও প্লেয়ার অব দ্য সিরিজও হয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২০
ইউবি