চট্টগ্রাম: নগরে নারী দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিয়ে মুক্তিপণ আদায় ও চাঁদাবাজিসহ নানান অপকর্মে লিপ্ত ছিল একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
এছাড়া নারীদের সঙ্গে জোর করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চক্রটি ওই ভুক্তভোগীদের থেকে টাকা আদায় করতো নিয়মিত।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, চক্রটির মূলহোতা মো. সজিব (২২), সাকিব (২১) ও সুমন (২০) ।
পাঁচলাইশ থানার ভার্রপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, নারীদেরকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে অপহরণ করে মুক্তিপণ বাবদ বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো একটি চক্র। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় ভিকটিমদের কেউ আইনের আশ্রয়ও গ্রহণ করতেন না। গত ২৬ ডিসেম্বর নগরের পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ এলাকায় চক্রটি একজন ভিকটিমকে অপহরণ করে জিম্মি করে একলাখ টাকা দাবি করে। পরে ভিকটিম বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা দেন। চক্রটি একই প্রক্রিয়ায় গত ৩০ ডিসেম্বর অন্য এক ভিকটিমকে নগরের মুরাদপুর থেকে অপহরণ করে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা আদায় করে।
তিনি আরও জানান, চক্রটির মহিলা সদস্য একজনকে টার্গেট করে। টার্গেট ব্যক্তিকে নানা কৌশলে অসামাজিক কাজের প্রস্তাব দিতেন। রাজি হলে সিএনজি অটোরিকশা যোগে যাওয়ার সময় পথে চক্রের সদস্যরা সিএনজিতে উঠে ভিকটিমকে নিয়ে নির্জনস্থানে নিয়ে যেতো। মুক্তিপণের জন্য মারধরও করা হতো ভিকটিমকে। পরে কৌশলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদায় করতো।
পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান সোহেল জানান, চক্রটির বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নগরের পাঁচলাইশ, বায়েজিদ ও চাঁন্দগাও থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটির মূলহোতা মো. সজিবসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারদের ভিকটিমরা শনাক্ত করে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি