ঢাকা, শুক্রবার, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নীরব বিপ্লব পটিয়ায়, অভিশাপ যখন আশীর্বাদ 

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
নীরব বিপ্লব পটিয়ায়, অভিশাপ যখন আশীর্বাদ  ...

চট্টগ্রাম: লবণ ছাড়া আমাদের চলেই না। আয়োডিনযুক্ত খাওয়ার লবণের বাইরে মাছের খামার, কৃষিকাজ, মাছ ও চামড়া সংরক্ষণসহ নানা কাজে লবণের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

পটিয়ার ইন্দ্রপুলে লবণ উৎপাদনে নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে।  

একসময় অর্ধশত লবণ ক্রাশিং মিলের পরিত্যক্ত পানিতে চাষের জমিতে ধান, সবজি উৎপাদন ব্যাহত হতো।

সেই অভিশাপ এখন আশীর্বাদে পরিণত হয়েছে। মৃতপ্রায় জমিগুলোই রাতারাতি লবণ মাঠে পরিণত করেছেন চাষিরা। টনে টনে চকচকে সাদা লবণের ঝিকিমিকি এখন সেই জমিতে।  

কে কখন কবে প্রথম কারখানার পরিত্যক্ত পানি দিয়ে লবণ উৎপাদন শুরু করেছিলেন তা নিয়ে নানা মত আছে। তবে সত্যিটা হচ্ছে, সাগরের পানি সরাসরি শুকিয়ে লবণ হচ্ছে না পটিয়ায়।  

বাঁশখালীর আবদুল করিম এক যুগ ধরে কাজ করছেন ইন্দ্রপুলের লবণ কারখানায়। তিনি জানান, লবণ ক্রাশিংয়ের পর কারখানার পরিত্যক্ত পানি জমিতে আনি। এর সঙ্গে চানখালী খালের পানি মিশিয়ে সেটা পলিথিনের ওপর রোদে শুকিয়ে লবণ হচ্ছে। এ লবণ প্রতি কেজি ৬-৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ লবণ মাছের খামার, চামড়ার আড়ত, কৃষিকাজে ব্যবহার হয়। খালের দুই পাড়েই লবণ তৈরি হচ্ছে। দিন দিন লবণ মাঠ বাড়ছে।  

পটিয়া লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ৭-৮ বছর আগে থেকেই ইন্দ্রপুলের লবণ কারখানার পরিত্যক্ত পানি পুনরায় রোদে শুকিয়ে লবণ তৈরি হচ্ছে। এটা শুধু পটিয়াতেই হচ্ছে। আমার জানা মতে দেশে আর কোথাও এটি নেই। এর ফলে যে সব জমিতে লবণাক্ততার কারণে চাষ হতো না সেগুলো লবণ মাঠ হয়ে যাচ্ছে। কারখানার পরিত্যক্ত পানিতে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি হচ্ছে না।  

তিনি জানান, সাগরের পানি দিয়ে কক্সবাজারে যে লবণ হয় তার মধ্যে মহেশখালীর লবণের দাম বেশি। এর চেয়ে কম টেকনাফ ও মগনামার লবণের দাম। মাঠে উৎপাদিত লবণ মানভেদে ৪০-৫০ কেজির বস্তা ৬৩০-৭০০ টাকায় কিনছি আমরা। ক্রাশিংয়ের পর আয়োডিনযুক্ত লবণ ২৫ কেজি প্যাকেট করা কার্টন ৩১০-৩৩০ টাকা বিক্রি করছি।

তবে ইন্দ্রপুলের জমিতে যে লবণ হচ্ছে তা খাওয়ার উপযোগী নয়। সেগুলো মাছের খামার, চামড়ার আড়ত, কৃষিকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।