ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৮ লাখ ২৯ হাজার শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেবে চসিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৪৩, অক্টোবর ৮, ২০২৫
৮ লাখ ২৯ হাজার শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেবে চসিক ...

চট্টগ্রাম: নগরের ১ হাজার ৫৪৬টি স্কুল ও ৭৮৩টি আউটরিচ সাইডে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩০১ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী ৫ লাখ ৩১ হাজার ১৬৭ জন, স্কুল বহির্ভূত শিশু ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৮৪ জন।

 

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে চসিক পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির অ্যাডভোকেসি সভা ও সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এ তথ্য জানান।  

সরকারের ইপিআই কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী রোববার (১২ অক্টোবর) টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হবে।

স্কুল পর্যায়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ১-১৩ নভেম্বর টিসিবি টিকা দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কমিউনিটির ৯ মাস (২৭০ দিন)  থেকে ১৫ বছরের কম (১৪ বছর ১১ মাস ২৯ দিন) বয়সী সব শিশু এবং প্রাক প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি/সমমানের সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েড প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হবে। ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য দিয়ে vaxepi অ্যাপে নিবন্ধন চলছে।  

মেয়র বলেন, ৬ অক্টোবর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছে ২ লাখ ৮ হাজার ২৬৭ জন। এর মধ্যে স্কুলের ১ লাখ ৬০ হাজার ১৪৮ জন (৩০ শতাংশ) এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ৪৮ হাজার ১১৯ জন (১৬ শতাংশ)।  

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আমিনের সভাপতিত্ব করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগ টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনে ৫৫ শতাংশ নিবন্ধন করে প্রথম স্থানে আছে। বাকিদের নিবন্ধনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো আশাকরি। মা মাটি দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে ৫ কোটি শিশুকে বাাঁচাতে হবে।

সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৫ কোটি সোনামণিকে টাইফয়েড টিকার আওতায় আনতে পারবো। যে রোগে দেশে ৬ হাজার শিশু মারা যায়। চট্টগ্রাম জেলায় ৬০ শতাংশ নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম দিকে কম সাড়া পেলেও সব শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।  

বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কো-অর্ডিনেটর ডা. ইমন প্রু মারমা বলেন, সরকারি ভ্যাকসিন সঠিক তাপমাত্রায় রাখা হয়। তাই এ টিকার গুণগতমান বেশি। যারা আগে প্রাইভেটলি টাইফয়েড টিকা নিয়েছে তারাও টিকা নিতে পারবে ক্যাম্পেইনে। টাইফয়েড টিকা নিরাপদ, প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। টাইফয়েড টিকা নিবন্ধন নাগরিক সুবিধার অংশ হিসেবে কাজ করবে।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মোহাম্মদ ওসমান।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের তথ্য হচ্ছে- বছরে ৯০ লাখ মানুষ প্রতিরোধযোগ্য টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়, মারা যায় ১ লাখ ১০ হাজার।  
                                         
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।