মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হালীম এ আদেশ দেন বলে বাংলানিউজকে জানান ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ।
শাকিলা ফারজানা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক।
অ্যাডভোকেট মনোরঞ্জন দাশ বলেন, হাটহাজারী ও বাঁশখালী থানায় দায়ের হওয়া পৃথক দুইটি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হয়েছিল।
মনোরঞ্জন দাশ জানান, হাটহাজারীর মামলায় ৩৩ জন আসামি ও বাঁশখালীর মামলায় ২৮ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারী উপজেলায় মাদরাসাতুল আবু বকর নামে একটি মাদরাসায় ‘জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে’ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব। ২১ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী উপজেলার লটমণি পাহাড়ে র্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-৭ এর কর্মকর্তারা জানান, হাটহাজারী ও বাঁশখালী থেকে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা নতুন জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডের সদস্য। শহীদ হামজা ব্রিগেডের তিনটি সামরিক উইং আছে। এগুলো হলো- গ্রিন, ব্লু এবং হোয়াইট। প্রত্যেক উইংয়ে সাতজন করে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য আছেন। ২০১৩ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রাম নগরের ফয়’স লেকে একটি রেস্টুরেন্টে সভা করে এই জঙ্গি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটান সংগঠকরা।
পরে ১৮ আগস্ট হামজা ব্রিগেডকে অর্থায়নের অভিযোগে ঢাকা থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা (৩৯), অ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামান লিটন (৩০) ও অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপন (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
এসকে/টিসি