চট্টগ্রাম: নগরের হালিশহর এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) জালিয়াতির ঘটনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও ৫ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম ও বন্দর) বিভাগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আলী হোসেন।
গ্রেফতার হয়েছেন- মো. কামাল হোসেন ওরফে মোহাম্মদ (৪৫), পারভীন আক্তার (২৫), মো. নুরুল আবছার (২৮), শামসুর রহমান প্রকাশ শামসু মাস্টার (৬০), মো. ইয়াছিন আরাফাত (২২), নির্বাচন কমিশনের চুক্তিবদ্ধ ডাটা এন্ট্রি অপরাটের মো. নুর নবী প্রকাশ রাহাত (২৫), মো. মিজানুর রহমান (২৩), ফরহাদুল ইসলাম (২৮), ইমন দাশ (২০) ও মো. কামাল (৪২)। এদের মধ্যে মো. কামাল হোসেন ও পারভীন আক্তার রোহিঙ্গা।
মুহাম্মদ আলী হোসেন জানান, হালিশহর হাউজিং এস্টেট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলছিল। সেখানে রোহিঙ্গা ভোটার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, দুইজন রোহিঙ্গা ও পাঁচজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশনের সরবরাহ করা এনআইডি কার্ড তৈরির ফরম-২ এবং জন্মনিবন্ধন ফরম ৬টি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, গ্রেফতার মো. নুরুল আবছার, শামসু মাস্টার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের সংগ্রহ করে এনআইডি কার্ড তৈরি করে দিতে লাখ টাকায় চুক্তি করতো। ভোটার করার জন্য রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন তৈরি করে দিতো।
এই কাজে ৯ হাজার টাকার বিনিময়ে সহায়তা করতো নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ৫ ডাটা এন্ট্রি অপারেটের। গ্রেফতার শামসুর রহমান মাস্টার রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড তৈরির কাজে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় চাকরিচ্যুত হন। গ্রেফতার ১০ জনের বিরুদ্ধে নগরের হালিশহর থানায় দুইটি মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
এমআই/টিসি