ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, জাতির কাছে সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্ৰ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের দুদিনব্যাপী ১৩তম দ্বি-বার্ষিক আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মেলন ও সাধারণ সভা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরিষদের যুগ্মসম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, আজকের সম্মেলনের থিম নির্ধারিত হয়েছে ইতিহাসে নারী। আমাদের এখন জেন্ডার ইকুয়ালিটি জেন্ডার ভ্যারিটি এই বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে নিয়ে আসা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ সেই বিষয়ের পিছিয়ে থাকবে না আশা করি।
তিনি বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি অংশ সেটি বিনির্মাণেও বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ পিছিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই। আমরা একটি সনাতন পদ্ধতিতে কাজ করে যেতাম কিন্তু এখন সময় এসেছে ভিন্নভাবে কাজ করার। অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে কীভাবে ইতিহাস পরিষদের কর্মপ্রয়াস চালিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে চিন্তার সময় এখনই। এছাড়া ইতিহাস বিকৃতি রোধে পরিষদের সদস্যদের নির্মোহভাবে কাজ করার তাগিদ দেন উপাচার্য।
মেট্রোরেল নিয়ে উপাচার্য বলেন, আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের যুগে প্রবেশ করেছি। স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের প্রথম পদক্ষেপের সূচনা হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির স্টেশন নিয়ে আমার অনেক সহকর্মী ও ছাত্রদের অভিযোগ ছিল যে এটা শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করবে। কিন্তু আজ আমরা দেখেছি এই রেল উন্নত প্রযুক্তির হওয়ায় কোনো শব্দদূষণ হওয়ার সুযোগ নেই। এটার দ্বারা শিক্ষার্থীদের এতটাই উপকার পাবে যে কয়েকদিন পর তারা বলবে কেন এটি কলাভবন পর্যন্ত বিস্তৃত হলো না।
সভাপতির বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আজকের এই সম্মেলনের সবার উপস্থিতি আমাদের ইতিহাস পরিষদকে একটি কর্মময় ইতিহাস চর্চার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সফল হয়েছে। এই পরিষদের ভবিষ্যত যে সম্ভাবনা এবং জাতীয় পর্যায়ে ভূমিকা রাখার যে মহান দায়িত্ব, সেটা প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই করে আসছে এবং তা বজায় রাখবে। ইতিহাসকে পঠন-পাঠনের দিক দিয়ে আরও বোধগম্য করে তোলা এবং সাধারণ মানুষের কাছে ইতিহাস সম্পর্কে আরও সচেতনতা বাড়াতে পরিষদ কাজ করে যাবে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ প্রকাশিত ‘ইতিহাসে নারী’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
এসকেবি/এসআইএস