ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মিছিল করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ বিক্ষোভ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, জাবিতে যে ধর্ষণের ঘটনা, তা ফ্যাসিবাদী শক্তির বাই-প্রোডাক্ট। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল, বিচার হয়নি। সিলেটের এমসি কলেজেও একই ঘটনা। গতকাল যে কক্ষে ভুক্তভোগীর স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়েছিল, সেটিও ছাত্রলীগের টর্চার সেল ছিল। তাদের পালাতে হলের প্রাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহায়তা করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব কাঠামো এমন যে ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। ছাত্রলীগ বলছে, ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। কিন্তু যে সংগঠন চাঁদাবাজ, নির্যাতক, টেন্ডারবাজ, ধর্ষক তৈরি করে-তার দায় কে নেবে! ওই ব্যক্তিদের যারা প্রস্তুত করেছে, তারা পার পেতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার আদালতকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তবে মানুষের বিবেককে নষ্ট করতে পারেনি। ছাত্রলীগের কর্মী মারা গেলে সেখানে মানুষ লাভ রিঅ্যাক্ট দেয়। এটা ছাত্রলীগের দুষ্কর্মের ফল। প্রশাসন হলগুলো ছাত্রদের না দিয়ে ছাত্রলীগের কাছে ইজারা দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সংগঠনের সদস্য সচিব নাহিদ ইসলাম বলেন, এ ঘটনা পুরোই পরিকল্পিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে একজন অছাত্র কীভাবে থাকে। জাবি প্রশাসনকে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
আরএইচ