ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাহিনী থাকলে শিক্ষার্থীদের পক্ষেই থাকতে হবে: গীতি আরা নাসরীন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৪
ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাহিনী থাকলে শিক্ষার্থীদের পক্ষেই থাকতে হবে: গীতি আরা নাসরীন

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বিজিবির অবস্থান সংবিধানসম্মত নয় মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন বলেছেন, যদি নিরাপত্তা বাহিনী থাকেই, তাদের শিক্ষার্থীদের পক্ষেই থাকতে হবে। নইলে তারা ক্যাম্পাসে থাকতে পারবেন না।

বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে আয়োজিত নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এসময় ক্যাম্পাসে বিজিবির উপস্থিতি ও হল বন্ধের নির্দেশের সমালোচনা করেন তিনি।

গীতি আরা নাসরীন বলেন, বিজিবি যদি ক্যম্পাসে থাকে, এটা সংবিধানবহির্ভূত। তারপরও যদি নিরাপত্তা বাহিনী থাকে, তাদের শিক্ষার্থীদের পক্ষেই থাকতে হবে। নইলে তারা ক্যাম্পাসে থাকতে পারবে না। আর শিক্ষার্থীদের আপনারা যে কোনো মুহূর্তে চলে যেতে বলতে পারেন না। তারা যা চায়, তাই হবে। আপনারা তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন। তাদের কোনো কিছুতে বাধ্য করবেন না।

শিক্ষক সমিতির সমালোচনা করে এ অধ্যাপক বলেন, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ভাষা বোঝেন না। দেশের সর্বত্র বৈষম্য। শিক্ষার্থীদের জীবন অনিশ্চিত। এসময় তারা কী শব্দ বলছে তা নিয়ে আপনারা (শিক্ষক সমিতি) বিবৃতি দেন, আপনারা তাদের কষ্টই বোঝেন না।

তিনি বলেন, প্রতিদিন যখন দেশ লুট হয়ে যায়, তখন শিক্ষার্থীরা ঊনসত্তরের শামসুজ্জোহাকে মনে করেন। আপনাদের চেহারা কেন মনে আসে না? আপনারা তাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন করেন? তারা তো মাথায় পতাকা বেঁধে যায়। (বরং) তাদের যারা মারতে আসে, তাদের হাতে পতাকা দেখিনি। তাদের কাছে লাঠি, ক্রিকেট ব্যাট, পাইপ দেখেছি। রাবার বুলেট ছোড়ে তারা।

গীতি আরা নাসরীন বলেন, পাকিস্তান অন্য একটি দেশ ভেবে আমাদের শোষণ করেছে। আমাদের দেশে শোষণ করে যারা অন্য অঞ্চলে গিয়ে সম্পদ গড়ছে, আপনারা তাদের ধরেন না। তারা রাজাকার না? প্রশ্ন করে যারা, তারা রাজাকার! ‘ভীতি, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া যথারীতি সবার প্রতি আইন অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করিব’ এই শপথ নিয়ে আপনারা শপথের মর্যাদা রক্ষা করেন না। আপনারা অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোটা বাতিল করেন।

তিনি বলেন, একসময় যাদের সঙ্গে আপনার কথা বলার কথা, বুকে জড়িয়ে ধরার কথা, সেই বুকে আপনারা গুলি করেন। একাত্তর থেকে আজ পর্যন্ত এসেছি। একাত্তরও যা দিয়েছে, আজকের আন্দোলনও তা দিয়েছে। আমাকে দিয়েছে শক্তি। আমরা যারা প্রশ্ন করতে ভুলে গিয়েছি, আমার অধিকার যে আমাকেই আদায় করতে হবে, তা শিক্ষার্থীদের কাছে শিখছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।