ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মানবিক ন্যায়বোধ জাগ্রত করার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
মানবিক ন্যায়বোধ জাগ্রত করার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর ছবি: সুমন শেখ/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক ন্যায়বোধ জাগ্রত করে জ্ঞানকে জনগণের কল্যাণে লাগাতে হবে।

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক ন্যায়বোধ জাগ্রত করে জ্ঞানকে জনগণের কল্যাণে লাগাতে হবে। অনেকেই ধর্মীয় মৌলবাদী, জঙ্গি-সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছেন।

এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের যত্নশীল হতে হবে।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রী হলে আয়োজিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ-এর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী সমাবর্তন উদ্বোধন করেন।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা রাখা দরকার। জ্ঞান ও মেধা প্রয়োগে সৃজশীলতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার চর্চা করতে হবে। তরুণ, মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেনো সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরো বেশি দায়িত্ব নিতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা হবে দেশপ্রেমিক, একইসঙ্গে দক্ষ জনশক্তি। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা বাড়ানো দরকার।

সমবর্তনে উপস্থিত ১ হাজার ২৮৩ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সম্মান, সম্পদ, সুবিধা ও দায়িত্বসহ নিজ নিজ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আশা করি, আচরণ-কর্তব্যপরায়ণতা দিয়ে আপনারা তা প্রমাণ করবেন।

এরপর সমবেত শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েট হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদীন বলেন, কর্মজীবনে যা পছন্দ হয়, সে পেশাই বেছে নিন। তবে সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করবেন। এতে সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে পারবেন। আশা করি ভালো করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এখন বিদেশে সুনাম অর্জন করছেন- সাফল্য বয়ে আনছেন। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান আরো উন্নত করতে হবে। সে দায়িত্ব কেবল ইউজিসি’র নয়। এজন্য সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ সাদ আন্দালিব সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য দেন। ‘ইন্সপায়ারিং এক্সিলেন্স’ স্লোগানটি ধারণ করে এবার ‘সমাবর্তন বক্তা’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী, সমাজসেবী ও মানবাধিকারকর্মী শাবানা আজমী।

এ সময় দুই শিক্ষার্থীকে ‘চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক’ এবং ২৯ শিক্ষার্থীকে ভাইস-চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
ইইউডি/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।