ঢাকা, শনিবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিক্ষা

ঘুম তাড়াতে বই পড়েন যিনি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৫৭, এপ্রিল ২, ২০১৭
ঘুম তাড়াতে বই পড়েন যিনি ঘুম তাড়াতে বই পড়েন যিনি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: গায়ে খাকি পোশাক। চুল-দাড়িতে পাক ধরেছে। বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই। হাতে কালো মলাটের একটি বই। কোলাহলের মাঝেও নিমগ্ন হয়ে পড়ে যাচ্ছেন...

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ড মো. মহিউদ্দিন খান। ডিউটিরত অবস্থায় কখনও ঘুম তাড়াতে কখনও সময় কাটাতে বই পড়েন তিনি।

তবে ভালো লাগার জায়গা থেকেই তার বই পড়ার অভ্যাস। আর এ অভ্যাস গড়ে ওঠে তার ছেলেবেলায়।

মহিউদ্দিন খান ১৯৬৯ সালে ঢাকার সাভারে জন্মগ্রহণ করেন। দারিদ্র্যের কষাঘাতে বেশি দূর পড়শোনা এগোয়নি তার। ৮ম শ্রেণিতেই পড়াশোনার ইতি টানতে হয়। শুরু হয় জীবন যুদ্ধের সংগ্রাম।

১৯৯২-৯৩ সালের দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গার্ড হিসেবে যোগ দেন মহিউদ্দিন। তবে কাজের চাপে বাড়িতে বই পড়ার সুযোগ না হলেও ডিউটিরত অবস্থায় ক্যাম্পাসে নানা জায়গায় বসে তাকে বই পড়তে দেখা যায়।

দুই ছেলে তিন মেয়ের পিতা মহিউদ্দিন দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে চলেছেন। আধ্যাত্মবাদ বিষয়ক বইয়ে তার বিশেষে আগ্রহ। গোপাল ভাঁড় থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে অসমাপ্ত আত্মজীবনী, লালন শাহের আধ্যাত্মিকতা, কাসাসুর আম্বিয়াসহ ইতিহাস ভিত্তিক বহু বই পড়েছেন মহিউদ্দিন।

আলাপকালে বাংলানিউজকে তিনি জানান, ডিউটিতে থাকাকালেই সবচেয়ে বেশি বই পড়া হয়। বসে থাকাই তো কাজ। সারাদিন বসে থাকতে একঘেয়ে লাগে। তাছাড়া রাতে ডিউটি পড়লে ঘুম পায়। বই পড়লে ঘুম চলে যায়। একই সঙ্গে জ্ঞানও অর্জনও হয়।

একঘেয়ে অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে সবাইকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেন মহিউদ্দিন খান।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।