ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাবি ছেড়েছেন ২৩৯ জন শিক্ষার্থী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৭
২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাবি ছেড়েছেন ২৩৯ জন শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি বন্ধ ও ফাঁকা আসনের বিড়ম্বনা এড়াতে ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার (সেকেন্ড টাইম) ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নেয়া এ ধরনের কঠিন সিদ্ধান্তের পরও আসন ফাঁকা থাকা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি বাতিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন ২৩৯ জন শিক্ষার্থী।

দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন ফাঁকা বন্ধ করা যাচ্ছে না। এমন অভিমত সংশ্লিষ্টদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও বিভিন্ন বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ২৩৯ জন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাতিল করেছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বিজ্ঞান বিভাগের  শিক্ষার্থী। ভর্তি বাতিলের শীর্ষে আছেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

জানতে চাইলে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিরাজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমার জানা মতে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করেছে। কেউ যদি চলে যেতে চায় তাদেরকে তো ধরে রাখার সুযোগ নেই। তাদের অনেকে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে। ভর্তি হবার পর  তা বাতিল করা আমাদের বিড়ম্বনায় ফেলে। কেননা আসনগুলো পরে আর পূরণ করার কোনো সুযোগ থাকে না।

এর বাইরে উদ্ভিদ বিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা, ভূগোল ও পরিবেশ, ভূতত্ত্ব, গণিত, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করেছেন। এছাড়া শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউট, ক্রিমিনোলজি, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগেরও কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর ক্লাস-পরীক্ষায়ও অংশ নেন। পাশাপাশি তারা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মেডিকেলে ভর্তির প্রস্তুতি নিতে থাকেন। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ হলে এসব শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করে সেখানে চলে যান। একবছর পার হয়ে যাওয়ায় এসব আসনে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করাও আর সম্ভব হয় না।

অপরদিকে প্রথমবর্ষে ভর্তির শুরুতে অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদেরও সুযোগ হয় না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের করার কিছু নেই। ভর্তি বাতিলে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে আগের তুলনায় আসন ফাঁকা থাকার বিষয়টি অনেক কমে এসেছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা বন্ধ করলে এই আসন ফাঁকা পুরোপুরি বন্ধ হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা বন্ধ করলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। তবে ভর্তি জালিয়াতি ও ফাঁকা আসনের বিড়ম্বনা এড়াতে তখন শিক্ষার্থীদের কোনো দাবিই আমলে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা: ০২৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৭
এসকেবি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।