ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ দেখালেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ দেখালেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন চাকরি প্রত্যাশী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাকরি প্রত্যাশী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ২৭ এপ্রিলের মধ্যে পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করে পুনরায় লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত ২১ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকাল ৩টায় ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।

শিক্ষার্থীদের উপস্থাপন করা প্রমাণাদিতে দেখা যায়, দুই পদ্ধতিতে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। পরীক্ষার আগের দিন রাতে হাতে লেখা প্রশ্ন, আর পরীক্ষার দিন দুপুরে প্রিন্ট করা প্রশ্ন। এসব প্রশ্নফাঁসে ব্যবহার করা হয় সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও মেসেঞ্জার।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত চক্রটি একটি কৌশল অবলম্বন করেছে। প্রশ্নের কিছু অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়ার পর দেড় লাখ টাকা দিলে পুরো প্রশ্ন পাঠানো হবে বলে জানায় চক্রটি। মূল প্রশ্নপত্রের ৭ নম্বর প্রশ্নে ৪টি গণিতের প্রশ্ন ছিল। যা পূর্বে দেওয়া প্রশ্নের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায়। এছাড়া অনুবাদ বিষয়ক প্রশ্নও পরীক্ষার আগের রাতেই ফাঁস হয়ে যায়।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিভিন্ন প্রক্রিয়া নিয়ে সংবদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রকিবুল হাসান। তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এখনো পর্যন্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। উপরন্তু আমরা প্রমাণাদি নিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ফরিদ উদ্দীন স্যারের সঙ্গে দেখা করার কথা বললেও তিনি ভিন্ন কথা বলেছেন।

‘এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও পরে পরীক্ষা হয় না। তাহলে তিনি কেনো আবার পরীক্ষা নেবেন’- ফরিদ উদ্দীনের এমন মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন শিক্ষার্থীরা।

রকিবুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, ‘ফরিদ উদ্দীন স্যার নিজেও প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। না হলে কেনো এতো অভিযোগের পরেও এখনো তদন্ত কমিটি করলেন না? তার বক্তব্যতেই প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ আছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘ফরিদ স্যারের অধীনে নেওয়া সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন একই পদ্ধতিতে ফাঁস হয়েছিল। যা তখন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়’।

পরীক্ষা বাতিল না হলে পরবর্তীতে হাইকোর্টের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। এছাড়া আন্দোলন পরিচালিত হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে। অন্যরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করলে এর দায়ভার নেবে না এই শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
এসকেবি/জিপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।