ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

নবম-দশমের ১২টি বই পরিমার্জন হচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
নবম-দশমের ১২টি বই পরিমার্জন হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

ঢাকা: যুগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মাধ্যমিকের (এসএসসি) ১২টি পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন করে সহজ করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান।
 
এ বিষয়গুলো হচ্ছে, বাংলা সাহিত্য, ইংলিশ ফর টুডে, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা, গণিত, উচ্চতর গণিত, বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান, অর্থনীতি, হিসাব বিজ্ঞান।

 
 
মন্ত্রী বলেন, এই ১২টা বই আরো উন্নত, মার্জিত ও আরও সহজবোধ্য করে ছেলে মেয়েদের কাছে দেবো। পরিমার্জন করে আগামী ২০১৮ সালের পাঠ্যপুস্তক নতুন করে দেওয়া হবে বলে আশা করছেন নাহিদ।
 
তিনি বলেন, আমাদের পাঠ্য বই নিয়ে আরেকটা বড় অভিযোগ। এটার মান সম্পর্কে, বোঝা সম্পর্কে। সেখানে আমরা ১২টা বইকে চিহ্নিত করেছি, যেগুলোতে কাজ হচ্ছে। সেগুলোকে আরও সহজ ভাষায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা আরও সুন্দরভাবে শিখতে পারে বা পড়ে বুঝতে পারে।  
 
শিক্ষাবিদদের মধ্যে ছিলেন ফরাস উদ্দিন, মঞ্জুর আহমেদ, রাশেদা কে চৌধুরী, জাফর ইকবাল, ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, আখতারুজ্জামান, এমএম আকাশ, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।  
 
বইয়ের বোঝা কমানোর জন্য কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, পঞ্চম শ্রেণিতে ৫/৬টি থাকলেও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১৩টা বই হয়ে যায়। এটা আমরা চাইলেই কালকে বদলে দিতে পারবো না। এর উপর কাজ চলছে। আলাদা কমিটি আছে। কিভাবে শিক্ষার্থীদের বোঝা কমিয়ে আনতে পারি-কমিটি সে বিষয়ে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে।  
 
তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে তিনটা বিষয়ে পাবলিক পরীক্ষা নেবো না।  
 
তিনি বলেন, নম্বরটা দেয়ার ব্যাপারে আমরা একটা গবেষণা করেছি। দেখা যাচ্ছে, দু’জন নম্বর দিচ্ছেন, পার্থক্য অনেক হয়ে যাচ্ছে। আমরা একটা গাইড লাইন তৈরি করেছি। খাতা নেয়ার সময় একটা মডেল উত্তর থাকবে, গাইড লাইনও পাবেন যে, এ রকম লিখলে এ রকম নম্বর পাবেন। নম্বর বেশি দেন, কম দেন, এ রকম গাইড লাইন দেওয়া হচ্ছে না। সঠিকভাবে যেন দেন, সেটা বলা হচ্ছে।  
 
নাহিদ বলেন, পরীক্ষা দীর্ঘ সময় ধরে চলছে, সময় কমানোর চেষ্টা করছি। নম্বর দেয়ার ব্যাপারে হয়ত অনেকে মনে করছেন, আমরা এখান থেকে গাইড করছি যে, কিভাবে নম্বর দেবে। মোটেই না।  
 
বিজ্ঞানের বইগুলোতে ছবিগুলো চার কালারের করে দেয়ার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে নাহিদ বলেন, অর্থনীতির বইতেও সে রকম চেষ্টা করবো। চার কালার না হলে বুঝতে সমস্যা হয়।  
 
নাহিদ বলেন, শেষ ধাপে এসে কিছু অসৎ শিক্ষকের কারণে প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে, ‍কিছু কোচিং সেন্টার।  
আমরা অনেক লোককে গ্রেফতার করেছি। যাদের মধ্যে অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, শিক্ষকও রয়েছেন। এটা অব্যাহত থাকবে। কেউ ছাড়া পাবেন না। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, অভিভাবকরাও সন্তানের জন্য প্রশ্ন খোঁজেন। তার সন্তানকে কুশিক্ষা দিচ্ছেন, তার নৈতিকতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন।  
 
একটি সংগঠনের দাবির মুখে এবার পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন এবং পরিমার্জনের ক্ষেত্রে এটা বিবেচনায় নেওয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, হেফাজতীকরণের বিষয়ে জানতে চাইছেন তাই তো? আমি পরিস্কার করে বলি, আমাদের বাংলা সাহিত্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীকে। আমরা আশা করতে পারি যে ঘটনাটা ঘটেছে শ্যামলী নাসরিন সেখান থেকে আমাদের উদ্ধার করবেন। তিনি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের যে ভ্যালুজ আছে সেগুলোকে রক্ষা করে বইটা পরিমার্জন করবেন।

এমএম আকাশ বলেন, আমি অর্থনীতির বইটা সংশোধন করছি। সেখানে ওই ধরনের কোনো ব্যাপার নেই, তারপরও আমরা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছি, তা হল কোনো ভুল থাকলে আমরা তা সংশোধন করব। জটিল কিছু থাকলে সহজ করব। সংবিধানের বিরুদ্ধে কোনো কথা থাকলে সেটা বিবেচনায় নেব।
 
সংবাদ সম্মেলনে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান, এনসিটিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।