ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবিতে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মিলনমেলা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৮
ঢাবিতে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মিলনমেলা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের পুনর্মিলনী/ ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফলতার সাথে শিক্ষা জীবন শেষ করে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছেন তারা। ক্যাম্পাসে থাকাকালে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে রয়েছে অজস্র স্মৃতি। আড্ডা, গল্প, পড়ালেখা সব চলেছে একই সাথে। এখন ব্যস্ততার কারণে ইচ্ছা সত্ত্বেও কারো সাথে হয় না দেখা সাক্ষাৎ।

ভার্চুয়াল জগতে যোগাযোগ হলেও সার্বক্ষণিক কাটানো সেই সময়গুলোর তুলনায় যা নিতান্তই কম। তাই বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সমিতিই তাদের একমাত্র জায়গা যেখানে তারা পুরনো বন্ধুদের সাথে স্মৃতিরোমন্থনে মিলিত হওয়ার সুযোগ পান।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সমিতি।  

এদিন সকালে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্র সমিতির পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান।

মিলনমেলা উপলক্ষে টিএসসি প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। সকাল থেকেই প্রাক্তনরা নিবন্ধন করে প্রবেশ করছেন। টিএসসির মাঠে তৈরি করা হয়েছে প্যান্ডেল। সেখানে বিভাগ থেকে পাস করে যাওয়া শিক্ষার্থীরা বসে আড্ডা দিচ্ছেন। কেউ নিজেকে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করছেন। অনেকদিন পর পুরনো বন্ধুদের কাছে পেয়ে আনন্দে জড়িয়ে ধরছেন আবার অনেকে নিজ ব্যাচ ছাড়াও সিনিয়র জুনিয়রদের সাথেও স্মৃতিরোমন্থন করছেন।

মাঠের এক কোণায় ছবি তোলার জন্য ‘ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ প্রাক্তন ছাত্র সমিতি’ লেখা বিশেষ ফ্রেম। এখানেই দাঁড়িয়ে গ্রুপ ছবি তুলছিলেন ১৯৯৯-২০০০ সেশনের শিক্ষার্থীদের একটি দল।  

তাদের একজন প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত আবু কাইসার বাংলানিউজকে বলেন, আজকের দিনটির জন্য প্রতিবছর আমরা অপেক্ষা করি। সবাইকে কাছে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। ভার্চুয়াল জগতে অনেকের সাথে কথা হয় কিন্তু আজকের দিনটি স্পেশাল।

এছাড়া বিভিন্ন ধরনের স্টল তৈরি করা হয়েছে প্রাক্তনদের জন্য। মিলনমেলায় নিজ বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায় তাদের।

পুরনো বান্ধবীদের নিয়ে গল্প করছিলেন ১৯৮৬-৮৭ সেশনের রাবেয়া মজিদ। বর্তমানে ঢাকা সিটি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে রয়েছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আজকের দিনের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।

বর্তমানে বিএইচটি ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত ৯২-৯৩ সেশনের কামরুল ইসলাম ক্যাম্পাসের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, সকালে মধুর ক্যান্টিন, বিকেলে হাকিম চত্বরের আড্ডা মিস করি।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, আমি আনন্দিত এই কারণে যে, আমি এই পরিবারের সদস্য। ভাষা আন্দোলনসহ সব মুক্তির আন্দোলনে এই বিভাগের অবদান আছে। বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে এই বিভাগের শিক্ষার্থী নেই।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি এ কে আজাদ। বক্তব্য রাখেন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আতাউর রহমান মিয়াজী, বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম।  

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান বিশ্বাস, ড. আবদুল বাছির, ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আবদুর রহিম, ড. এটিএম সামছুজ্জোহা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
এসকেবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।