ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

কুমেকের ২৬ শিক্ষার্থী স্থায়ীভাবে বহিষ্কার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
কুমেকের ২৬ শিক্ষার্থী স্থায়ীভাবে বহিষ্কার

কুমিল্লা: কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ২৬ শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কার্যক্রম ও ছাত্রাবাস থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং ১৮ জনকে সর্তক করা হয়েছে।

এছাড়া ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশ, মিছিল, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানো নিষিদ্ধসহ সব ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে কুমেক কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সাজাপ্রাপ্ত ছাত্রদের ছাত্রাবাস ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কুমেক শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার ও সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী জাওয়াত আররাজ, ৫ম বর্ষের হাসিবুল হক অর্ণব ও শেখ আসিফ মাহমুদ।

২ বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন ৫ম বর্ষের কাজী জুয়েল, ইফতেখার হাসান, রাব্বী হোসেন, ৫ম বর্ষের পুরনো ব্যাচের পলাশ সরকার, রিয়াদ হোসেন, ২য় বর্ষের পিয়াল দেব চৌধুরী, ফয়সাল আমিন, নিতাই চন্দ্র সূত্রধর, জয়দীপ চৌধুরী। ১ বছরের জন্য বহিষ্ক‍ৃত হয়েছেন ৫ম বর্ষের দীপ্ত দত্ত, স্বপন কান্তি দাশ, ৪র্থ বর্ষের সাখাওয়াত হোসেন, ৫ম বর্ষের আরিফুল ইসলাম, সাব্বির মাহমুদ, তৃতীয় বর্ষের শাহ মুহাম্মদ নাজমুচ সাকিব, ২য় বর্ষের ইয়াহিয়া মাসুদ, তৃতীয় বর্ষের দেবজিৎ ঘোষ, ৪র্থ বর্ষের সৌমিত্র আচার্য্য,
৫ম বর্ষের মাহির হোসেন, তৃতীয় বর্ষের মাশরুখ আরাফাত রিসান,
রায়হানুজ্জামান, ৫ম বর্ষের মিজানুর রহমান ও তানভীর জামান।

কলেজ সূত্র জানায়, গত ৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শেখ রাসেল ছাত্রাবাসে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী আবদুল হান্নান এবং সাবেক সভাপতি ও অষ্টম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান পলাশ সমর্থিত গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৩ জন শিক্ষার্থী আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রাবাসের দরজা, জানালাও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ২৬ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এদের মধ্যে ৩ জনকে ৩ বছরের জন্য, ৯ জনকে ২ বছরের জন্য এবং ১৪ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া আরো ১৮ জনকে সতর্ক করা হয়। কলেজের ডা. শাহআলম বীর উত্তম ছাত্রাবাস ও শেখ রাসেল ছাত্রাবাসেও পুলিশি পাহারা রয়েছে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. মহসিন-উজ জামান চৌধুরী জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংঘর্ষে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও হয়েছে। অপরাধ করলে পার পাওয়া যাবে না, এটা সবাইকে বুঝতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।