ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

৭শ’ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে ব্রিটিশ বাংলা ট্রাস্ট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪১ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৮
৭শ’ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে ব্রিটিশ বাংলা ট্রাস্ট সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথপুর-ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশনের ট্রাস্টিরা-ছবি-বাংলানিউজ

সিলেট: স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ৭শ’ শিক্ষার্থীকে এবার বৃত্তি দেবে জগন্নাথপুর-ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্ট, ইউকে। এদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ১ লাখ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হবে। 

বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানটি হবে আগামী ১০ মার্চ জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে (রসুলগঞ্জ বাজার) ।  

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম. এ. মান্নান ও বিশেষ অতিথি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোছাম্মত নাজমান আরা খানুম ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ. এইচ. এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক উপস্থিত থাকবেন।

 

সোমবার (৫ মার্চ) দুপুরে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ট্রাস্টের ফাউন্ডার ও বর্তমান সেক্রেটারি মহিব চৌধুরী।

তিনি বলেন, শেকড়ের টানে এই ট্রাস্ট গত ১৮ বছর ধরে জগন্নাথপুর উপজেলার শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রসারে বৃত্তি প্রদান করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও ৭শ’ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ লাখ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হবে।  

তিনি বলেন, শিক্ষার প্রসারে আমরা একটি এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা সদরে এই রিসোর্স সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।  

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম. এ. মান্নানের সহযোগিতায় প্রকল্পে সরকার থেকে প্রায় ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হবে।  

ইতোমধ্যে সারাদেশের ৮শ’৮০টি উচ্চ বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘বিতর্ক বিকাশে’ তাদের অর্থে পরিচালিত জগন্নাথপুরের ইসহাকপুর পাবলিক হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা রানার আপ হয়েছে। এটি বৃহত্তর সিলেটের জন্য গৌরবের। এসব শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাস্টিরা।  

তিনি বলেন, কেবল শেকড়েই নয়, ইংল্যান্ডে বসবাসরত আমাদের অনেক শিক্ষার্থী সুনাম অর্জন করেছে। ইংল্যান্ডে ‘জি. সি. এস. ই’ এবং ‘ও লেভেল’ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরও সম্মাননা প্রদান করে উৎসাহ দিচ্ছে ইউকে ট্রাস্ট। এর মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হয়।  

ট্রাস্টের অতীত কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে ট্রাস্ট গঠনের পর ১৮ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। অনেক শিক্ষার্থী দেশ-বিদেশে সুনামের সঙ্গে পড়ালেখা করে কর্মজীবনে আছেন।  

লিখিত বক্তব্যে ট্রাস্টের ট্রেজারার যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাসনাত আহমদ চুনু বলেন, এবারের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের পর আমরা ট্রাস্টের দরজা আবারও সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেব। আমরা ধারণা করছি এর ফলে নতুন করে ৫০ জন ট্রাস্টি হবেন এবং এতে ট্রাস্টের প্রায় ১ কোটি টাকা সংগ্রহ হবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্য ট্রাস্টিরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮
এনইউ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।