ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

সব চাকরিতে কোটার শূন্য পদ মেধা থেকে: জনপ্রশাসন সচিব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৯ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৮
সব চাকরিতে কোটার শূন্য পদ মেধা থেকে: জনপ্রশাসন সচিব মন্ত্রণালয়ের আদেশ ও আন্দোলনের ফাইল ফটো

ঢাকা: একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার শর্ত শিথিল করে কোটার পদ মেধা তালিকা থেকে পূরণের নির্দেশনা সরকারি সব চাকরির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বুধবার (৭ মার্চ) ২০১০ সালের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মুক্তিযোদ্ধা কোটার শর্ত শিথিল করে অন্যসব সরাসরি নিয়োগে সব কোটার ক্ষেত্রে শূন্যপদে মেধাবীদের নিয়োগের নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করেছে।
 
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, সিনিয়র স্টাফ নার্স- এর ৪০০০ এবং মিডওয়াইফ-এর ৬০০ পদ পূরণের জন্য জনপ্রশাসন ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখের ৫৯ নম্বর সার্কুলারে উল্লেখিত মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ সংক্রান্ত নির্দেশনা শিথিল করে ওই পদগুলো জাতীয় মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হবে।

এটা এককালীন না হয়ে সব সময় প্রযোজ্য হবে।

চাকরিতে কোটার প্রার্থী না পাওয়া গেলে ওই আদেশে শীর্ষ মেধাবীদের নিয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হয়।  
 
‘সকল সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হইলে সে সেকল পদ মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের মধ্য হইতে পূরণ করিতে হইবে। ’
 
তবে একই আদেশে এই কোটার শূন্যপদ পূরণে মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা নিয়ে বিভ্রান্তি ও অস্পষ্টতা চলছিল।
 
বিষয়টি স্পষ্ট করে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
 
ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, এই নির্দেশনা বিসিএস ও অন্য সব সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এখন থেকে কোটার পদ শূন্য থাকলে মেধা থেকে পূরণ করা হবে। কোটায় যখন শূন্য থাকবে না তখন নেবো না।
 
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, পদ শূন্য থাকলে বারবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বেগ পেতে হয়। এছাড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সচিব সভায় শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশনা এসেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ই নিয়োগ সংক্রান্ত জনবল দেখভাল করে।
 
বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর জন্য কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা পদ্ধতি সংরক্ষিত। সব মিলিয়ে কোটা পদ্ধতি রয়েছে ৫৬ শতাংশ।
 
কোটায় পদ শূন্য থাকায় মেধাবীদের নিয়োগসহ কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।