ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য সৃষ্টিশীলতার দ্বার উন্মোচন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৮
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য সৃষ্টিশীলতার দ্বার উন্মোচন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে: পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক শিক্ষা ও কেবল সনদ প্রদানই মূল উদেশ্য নয়, বরং মেধাবিকাশ, উন্মুক্ত চিন্তা-চেতনার উন্মেষ, বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা প্রয়োগের শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র হলো বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, গবেষণা ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে যাতে শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত হতে পারে তার দ্বার উন্মোচন করাই হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

বুধবার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।  

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন ও ব্যবহার এবং আবিষ্কার সম্পর্কে নিজস্ব কর্মসূচি থাকতে হবে।

পাশাপাশি বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম পর্যালোচনা করে নিজেদের জন্য যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম এবং উন্নত পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ব্যর্থ হলে তা যুগের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে।  

এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষক, ইউসিজিসহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে মনে করেন রাষ্ট্রপতি।  

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতি গঠনে প্রকৌশল শিক্ষার গুরুত্ব অত্যধিক। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা একটি জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করে। প্রকৌশলীদের চিন্তা-চেতনায় থাকবে দূরদৃষ্টির সুস্পষ্ট প্রতিফলন। বিশ্বায়নের এই যুগে প্রতিনিয়তই প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধিত হচ্ছে এবং নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাই আমাদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করে নতুন নতুন উদ্ভাবনে উদ্যোগী হয়ে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।  

অনুষ্ঠান শুরুর আগে ময়মনসিংহের ভালুকায় বিস্ফোরণে নিহত কুয়েটের চার শিক্ষার্থীর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এতে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আসগর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।

সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ স্নাতক পর্যায়ে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে ৩৮ জন কৃতী গ্রাজুয়েটকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক’ দেন। এছাড়া যে সব শিক্ষার্থী ২০১০-২০১১ থেকে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিইউআরপি এবং ২য় সমাবর্তনের পর থেকে এ সময়কাল পর্যন্ত পিএইচডি, এমফিল, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাদের ডিগ্রি দেওয়া হয়। সর্বমোট ২৭৯৫ জনকে স্নাতক ও ২২৮ জনকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয় সমাবর্তনে। এর মধ্যে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ২৬৫৭, বিইউআরপি ১৩৮, এমএস-সি ৬৯, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ১০৩, এমফিল ৪৮ এবং ০৮ জনকে পিএইচডি ডিগ্রির সনদ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
এমআরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।