ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

অনলাইন কেনাকাটায় অস্বস্তি ৪৯ শতাংশ গ্রাহকের

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২২
অনলাইন কেনাকাটায় অস্বস্তি ৪৯ শতাংশ গ্রাহকের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): রাজধানী ঢাকায় অনলাইনে কেনাকাটা করে ৫১ শতাংশ গ্রাহক স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। স্বস্তিতে থাকা ক্রেতাদের মধ্যে ৬২ শতাংশ নারী ও ৪৩ শতাংশ পুরুষ।

ফলে অনলাইন কেনাকাটায় পুরুষের চেয়ে বেশি সন্তুষ্ট নারীরা। তবে বাকি ৪৯ শতাংশ গ্রাহক অনলাইনে পণ্য কিনতে অস্বস্তিবোধ করেন বলে গবেষণায় ওঠে এসেছে।  

গত ১১ ডিসেম্বর গবেষণা প্ল্যাটফর্ম রিসার্চগেটে প্রকাশিত `ফ্যাক্টরস ডিটারমিনিং স্যাটিসফেকশন অব অনলাইন কাস্টমারস ইন ঢাকা সিটি, বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি গবেষণা নিবন্ধ থেকে এসব তথ্য জানা যায়। গবেষণাটি `জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি জার্নাল অব বিজনেস রিসার্চ’-এর ২২ নম্বর ভলিয়্যুমে অন্তর্ভুক্ত। এটি পরিচালনা করেছেন জাবির ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) অধ্যাপক এস এম ইখতিয়ার আলম।

নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, অনলাইনে কেনাকাটায় নয়টি সূচক গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো হলো—প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পণ্য দেওয়া, সশরীরে কেনাকাটার সঙ্গে অনলাইনে দামের সামঞ্জস্য, পণ্যের লিখিত ও দৃশ্যমান বিবরণ, গ্রাহক সেবা ও সমস্যা সমাধান, সময়মতো পৌঁছানো, ডেলিভারি মূল্য, দ্রব্য বা অর্থ ফেরত নীতিমালা, বিক্রেতা ও ডেলিভারি ম্যানের আচরণ এবং পণ্যের ওয়ারেন্টি সেবা।

এরমধ্যে প্রতিশ্রুত পণ্য দেওয়ার সূচকটির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। এরপর দামের সামঞ্জস্য এবং পণ্যের দৃশ্যমান ও লিখিত বিবরণী সূচক দু’টি ভূমিকা রাখে।

গবেষণায় আরও বলা হয়, রাজধানীতে অনলাইন কেনাকাটায় প্রতিশ্রুত পণ্য পায় ২২.৪৫ শতাংশ, গ্রহণযোগ্য মূল্যে কেনাকাটা করে ১৬ শতাংশ এবং বিবরণ অনুযায়ী পণ্য পান ১৪ শতাংশ অনলাইন ক্রেতা। যেখানে পণ্য ডেলিভারির মূল্য গড় পণ্য-মূল্যের ২২ শতাংশ।

সময়ের স্বল্পতা, অবস্থানগত সুবিধা এবং পণ্যের প্রকরণ ও ভিন্নতা—এই তিনটি কারণে মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করে। গত পাঁচ বছরে অনলাইনে কেনাকাটা বহুগুণ বেড়েছে। দেশে বর্তমানে ছয় হাজারের বেশি ‘সেলার রেটিংসহ’ সক্রিয় অনলাইন সাইট রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের মেম্বার রেকর্ড বুক অব মার্কেট প্লেসের তথ্য মতে, দেশে প্রায় ৪৫ হাজার অনলাইন বিক্রেতা আছে যারা অল্প কয়েক ধরনের পণ্য বিক্রি করে আসছে।

জানা যায়, বিভিন্ন বয়স, পেশা ও আর্থ-সামাজিক অবস্থান থেকে ওঠে আসা ক্রেতাদের ওপর জরিপ করে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। যারা কমপক্ষে এক বছর অনলাইনে কেনাকাটা করেছেন, এমন এক হাজার ৫৬০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে ৯৩৬ জন পুরুষ ও ৬২৬ জন নারী। তবে গবেষণায় শুধুমাত্র নন-ফুড পণ্য দ্রব্যকে বিবেচনা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক এস এম ইখতিয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশে অনলাইন ব্যবস্থার সুফল দেখে দেশে একের পর এক অনলাইন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। তবে তারা পণ্য বিক্রির নামে প্রতারণা করে যাচ্ছে। এরমধ্যে ভালো মানের পণ্য দেখিয়ে খারাপ পণ্য দেওয়া, এমনকি পণ্যের পরিবর্তে ফাঁকা বাক্স হাতে ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও কম নয়। গ্রাহকদের সঙ্গে এমন প্রতারণা এক ধরনের ফৌজদারীঅপরাধ। তবে এ বিষয়টি নিয়ে কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা কাজ করছে না, এটা দুঃখজনক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২২
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।