ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে প্রথম মেধা তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার ও ভর্তি শুরু হয়েছে। আগমীকাল (৫ জানুয়ারি) সাক্ষাৎকার শেষে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভর্তির কার্যক্রম।
তবে ভর্তি হতে যেয়ে ফি দেওয়ার রসিদ সংক্রান্ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ভর্তিচ্ছুরা ফি দিতে গেলে পরিবহন ফি’র রসিদে পরীক্ষার ফি লেখা দেখতে পান। বিষয়টি তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার নজরে এলে প্রিন্টিংয়ে ভুল হয়েছে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি অতিদ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।
একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার সাংবাদিকদের জানান, ‘বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের ম্যানেজারকে বলেছি, যারা রসিদ জমা দিয়েছে সেটা কলম দিয়ে কেটে ঠিক করতে। একটি সিল বানানোর অর্ডার দিয়েছি। বাকি রসিদ বহিগুলোতে ভুল অংশটি কেটে সিল মেরে দেওয়া হবে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় প্রেস দপ্তরের অধীনে দুই মাস আগে ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য তিন হাজার কপি ফি দেওয়ার রসিদ বহি ছাপানো হয়। যেখানে ব্যয় হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্টিং মেশিন নষ্ট থাকায় সবগুলো বহি বাইরের প্রেস থেকে ছাপানো হয়।
ছাপানো বহিতে পৃথকভাবে তিনটি (পরিবহন, পরীক্ষা এবং সেশন ফি) অংশ রয়েছে। এর মধ্যে পরিবহন ফি’র রসিদের হিসাব বিভাগের অংশে ‘পরীক্ষার ফি’ লেখা দেখা যায়। ফলে ফি পরিশোধ করতে ভর্তিচ্ছুরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। রসিদ বহির প্রত্যেক কপিতে এ সমস্যা হয়েছে বলে জানা যায়।
সাবেক প্রেস প্রশাসক সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু হেনা মোস্তফা জামাল বলেন, ‘আমি দায়িত্বে থাকার সময়ই রসিদ বহি ছাপানো হয়েছিল। আমরা হাতে সময় পেয়েছিলাম খুবই কম তাছাড়া আমাদের প্রিন্টিং মেশিনটাও নষ্ট ছিল। যার কারণে তড়িঘড়ি করে বাইরে থেকে ছাপানো হয়েছে। তবে এ ভুলটা ধরার দায়িত্ব আমাদের ছিল না। ছাপানোর জন্য যা লিখা লাগে তা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে নির্ধারিত করে দেওয়া ছিল। সে অনুযায়ীই আমরা ছাপিয়েছি। আমরা ছাপানোর পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চেক করার জন্যও পাঠিয়েছিলাম। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২২
আরএ