ঢাকা: করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি ও টিকা কার্যক্রমে জোর দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখা হবে।
করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। এটিকে আরও মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে চাই। মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে। করোনার সংক্রমণের হার ৭ শতাংশ থাকার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছিলাম। এখন সংক্রমণের হার তার কাছাকাছি হলেও আমরা ভালো অবস্থায় আছি। কারণ অনেকেই টিকা নিয়েছেন। এ মাসের মধ্যে ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করব না। টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করব। স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মনিটরিং জোরদার করব। সীমিত পরিসরে যেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলছে, সেভাবেই চলবে। পরামর্শক কমিটির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করব। বন্ধ করার প্রয়োজন হলে বন্ধ করে দেব। তবে আমরা মনে করছি, টিকা দেওয়া গেলে তার প্রয়োজন হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। তাদের মধ্যে ৪৪ লাখ প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে। ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। মোট ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ জন শিক্ষার্থী করোনার টিকা পেয়েছে। ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী করোনার কোনো টিকা পায়নি।
দেশের ৩৯৭টি উপজেলায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শেষ করতে পারবেন জানিয়ে দীপু মনি বলেন, বাকি উপজেলায় আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে টিকা দেওয়া শেষ করা যাবে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীর প্রথম ডোজ শেষ করতে পারব।
স্কুলের আইডির পাশাপাশি শিক্ষার্থী হিসেবে যেকোনো প্রমাণ দেখাতে পারলে ১২-১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবে। কারও আইডি কার্ড না থাকলে সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখালে টিকা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ে শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২২
এমআইএইচ/জেএইচটি