ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি আইডিইবি একাংশের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি আইডিইবি একাংশের

ঢাকা: ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) সংবিধানের ১১/০৪/০২ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরির অভিযোগ উঠেছে। আইডিইবি'র আগামী কেনিক নির্বাচন ২০২৩-২০২৫ টার্মের অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের একাংশ এ অভিযোগ তোলে।

একই সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার দাবি করেন সংগঠনের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক মল্লিক ও প্রকৌশলী খন্দকার মঈনুর রহমান প্যানেলের পক্ষ থেকে আইডিইবির আগামী কেন্দ্রীয় নির্বাচন ২০২৩ -২০২৫ বয়কটের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ২০২৩-২৫ মেয়াদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৭৪২৩টি ভুয়া ভোটার তৈরি ও সন্ত্রাস করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ২০২৩-২৫ মেয়াদের নির্বাচনে ৭৪২৩টি নাম সর্বস্ব ও ভুয়া ভোটার, একই ব্যক্তিকে একাধিকবার ভোটার করা, ঠিকানা বিহীন ভোটার, বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও আত্মীয়কে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আগামী নির্বাচনের সভাপতি পদপ্রার্থী মো. ফজলুল হক মল্লিক জানান, ৭১টি জেলা নির্বাহী কমিটিতে প্রায় ১৮ হাজার ৪০০ জন ভোটার তালিকাভুক্ত করা হলেও মাত্র ১১ হাজার ভোটারের মোবাইল নম্বর সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৭,৪০০ ভোটারের মোবাইল নম্বরসহ যোগাযোগের ঠিকানা সরবরাহ করা হয়নি। আমরা মনে করি উল্লেখিত ৭ হাজার ৪০০ জন ভোটার শুধুই নামসর্বস্ব। এরূপ নামসর্বস্ব ভোটার তালিকা দিয়ে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। আইডিইবির সংবিধানের ১১/০৪/০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সদস্যগণ বসবাসের স্থান অনুযায়ী সেই জেলার সদস্য হিসাবে বিবেচত হবেন বলা হলেও অসম্পূর্ণ ঠিকানায় অনেকে সদস্য হয়েছে। অনেক সদস্য প্রকৌশলী নিজ নিজ হাল নাগাদ চাঁদা পরিশোধ করলেও তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।

বর্তমানে সদস্য সংখ্যা আনুমানিক ৬৬ হাজার জন হলে কমপক্ষে ৩৫ হাজার জন ভোটার হওয়া উচিৎ বলে দাবি করে। কিন্তু বাস্তবে ভোটার সংখ্যা মাত্র ১৮ হাজার ৪৩১ জন। পাশাপাশি সব ভোটারকে বার্তা দেওয়ার জন্য যোগাযোগের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সরবরাহ করার জন্য নির্বাচন কমিশনারকে অনুরোধ করা হলেও তা সরবরাহ করা হয়নি বলে দাবি করেন মো. ফজলুল হক মল্লিক।

তিনি বলেন, শতভাগ প্রস্তুতি থাকার কথা উল্লেখ করে আইডিইবি ভবনে প্রবেশ করতে না পারার কারণে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নির্বাচন বয়কট করতে বাধ্য হয়েছি। একই সঙ্গে যদিও আমরা নির্বাচনের জন্য  প্রস্তুত ছিলাম। ভবন দখলের কিছু নেই, এই ভবনটি বাংলাদেশের সব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের জন্য, এটা দখল করার কিছুই নেই। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন চাই।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ সমর্থিত মোঃ. ফজলুল হক মল্লিক-খন্দকার মাঈনুর রহমান প্যানেল এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইডিইবির কেন্দ্রীয় নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী প্রকৌশলী খন্দকার মঈনুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সৈয়দ আবু তাহের, নাঈমুল হোসেন সাগর প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
ইএসএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।