ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

মনোনয়নপত্র দাখিল-বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দের আগেই সরব নির্বাচনী মাঠ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, মে ১, ২০২৩
মনোনয়নপত্র দাখিল-বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দের আগেই সরব নির্বাচনী মাঠ

বরিশাল: মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দের আগেই বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের মাঠ প্রচার-প্রচারণায় অনেকটাই সরব হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) শিবিরে নির্বাচনী আমেজ বইতে শুরু করেছে।

এ দুই দলের মনোনীত প্রার্থীরা এরইমধ্যে নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় প্রস্তুত করে ফেলেছেন। পাশাপাশি তারা স্থানীয় বিভিন্ন সভা ও অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।

যদিও অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধন্তে সিটি নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় বিএনপির শিবিরে কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি। সেই সঙ্গে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে নিঃশ্চুপ রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আর তফসিল ঘোষণার পর দলীয় ব্যানারের বাইরে যারা নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন তারাও বর্তমানে চুপচাপ রয়েছেন।

বক্তব্য রাখছেন জাপা মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস

তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাপা মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস এরই মধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কর্মীসভা ও নগরের বেশ কয়েকটি এলাকায় উঠান বৈঠক করেছেন। এসব ষভা  ও বৈঠকে তিনি বলছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তার বিজয় সুনিশ্চিত। আর সিটি মেয়র হতে পারলে বরিশালকে একটি উৎপাদনমুখী তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন।

অপরদিকে বর্তমান মেয়রকে হটিয়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হয়ে বেশি আলোচনায় থাকা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) বলছেন, নগরবাসী তাকে এরইমধ্যে যেভাবে গ্রহণ করেছে তাতে বিজয় নিয়ে তিনি শতভাগ আশাবাদী। আর নির্বাচিত হতে পারলে বরিশালকে তিনিও তিলোত্তমা শহরে রূপ দেবেন।

 আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ

আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বরিশালে আসার পর প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ প্রভাবশালী অনেক নেতার নাম বাদ দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও গঠন করে ফেলেছেন। যদিও নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধের কারণে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলীয় নেতা কর্মীদের প্রতি শহরে নির্মাণ করা তোরণ, টাঙানো ব্যানার-ফেস্টুন অপসারনের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এ প্রার্থীর সঙ্গে তার সহধর্মিনী লুনা আব্দুল্লাহও মাঠ পর্যায়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন। তিনি এরই মধ্যে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা করেছেন। আবার কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছেন। আর এসব কিছুর মূলে ছিল নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে আসন্ন নির্বাচনে ভোট চাওয়া।

স্বামীর প্রচারে ব্যস্ত আ.লীগের প্রার্থীর সহধর্মিনী লুনা আব্দুল্লাহও

এদিকে গত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী একমাত্র নারী মেয়র প্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তী এবারে মাঠে নেই।   নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে নানান প্রশ্নে দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। ফলে এবারে নগরবাসী এই নেত্রীকে এরইমধ্যে মিস করতে শুরু করেছেন।

যদিও একাধিক প্রার্থীর অংশগ্রহণ নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করবে বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর বরিশাল মহানগরের সম্পাদক রফিকুল আলম।

আর নির্বাচনে আনকনটেস্টেড হওয়ার পেছনে কোনো আমিত্ব নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এতে নির্বাচনের কোনো স্বাদ পাওয়া যায় না। কাজেই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা উপভোগ করুক বরিশালের মানুষ। আর সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হবে এমন আশাবাদী আমরা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, মে ১, ২০২৩
এমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।