বরিশাল: গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের প্রতীকেই আস্থা দেখলেন বরিশাল সিটি নির্বাচনের (বিসিসি) স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপণ। নিজের প্রতীক হিসেবে তিনি ‘টেবিল ঘড়ি’ চেয়েছেন; পেয়েছেনও।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের ছেলে রূপণ।
শুক্রবার (২৬ মে) সকালে বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। সেখানেই নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে নিজের প্রতীক টেবিল ঘড়ি চেয়ে আবেদন জানান সাবেক এই ছাত্রদল নেতা। আর কেউ প্রতীকটি দাবি না করায় রূপণকেই সেটি বরাদ্দ করা হয়।
টেবিল ঘড়ি প্রতীক পেয়ে কামরুল আহসান রূপণ বলেন, আমার বাবা প্রয়াত আহসান হাবিব কামাল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। তার সঙ্গে মিলিয়ে আমি প্রতীক হিসেবে টেবিল ঘড়ি চেয়েছিলাম। আমি বিজয়ের প্রত্যাশা করছি।
অপর দুই স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মধ্যে মো. আলী হোসেন হাওলাদার হরিণ ও মো. আসাদুজ্জামান হাতি প্রতীক পেয়েছেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) নৌকা, জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন (তাপস) লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম হাতপাখা ও জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু গোলাপ ফুল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
প্রতীক বরাদ্দের পর সব প্রার্থী এবারের নির্বাচনে বিজয়ের প্রত্যাশা করছেন। ভোটের লড়াইয়ে জয়ী হলে বরিশালের উন্নয়নসহ নানা কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথাও বলেন প্রার্থীরা।
মেয়র প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম শুরু হয়। এদিকে মেয়র প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পরিচালনা কমিটি ও কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন।
আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে দ্বিতীয় পর্যায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) তিনদিনের কারিগরি প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ শেষ হয়।
বরিশাল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সি বলেন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ৫০ জন অংশ নিয়েছিলেন। প্রথম পর্যায়ে ৮৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল জেলা নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে ১৩৬ জন প্রশিক্ষণার্থীকে ১২ জুনের নির্বাচনে প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ইভিএম সুরক্ষায় ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
এমএস/এমজে