ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন

খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ইশতেহার ঘোষণা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৩
খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ইশতেহার ঘোষণা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর

বরিশাল: কোনো হল ভাড়া কিংবা রেস্তোরায় বসে নয়, খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন বরিশাল সিটি নির্বাচনে হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান।

শুক্রবার (০৯ জুন) বেলা ১১টায় বরিশাল নগরের প্রাণকেন্দ্র সদররোস্থ অশ্বিনী কুমার হল ভবনের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে ১৭ দফা নির্বাচনী ইশতিহার ঘোষণা করেন তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে প্রধান নির্বাচনী এজেন্টসহ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অশ্বিনী কুমার হল প্রাঙ্গণে খোলা আকাশের নিচে ইশতিহার ঘোষণা করেছি। আর দাঁড়িয়ে ইশতেহার পাঠের কারণ জনগণ, তাদের প্রতি সন্মান দেখাতেই আমার এ অবস্থান।  আমি এ নগরের সব জনগণকে সন্মান ও শ্রদ্ধা জানাই।

তিনি বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী, আমার পক্ষে কোনো দল নয়, সাধারণ মানুষ কাজ করে।  আমি বলবো আমার পক্ষে যারা কাজ করছে তাদের যেন প্রশাসন হয়রানি না করে। তবে বাধাগ্রস্ত এখনও হয়নি। প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের দিকে, আমার মতো সাধারণদের দিকে নয়।  আর এ কারণে ভোটাররা শঙ্কায় রয়েছেন তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কিনা।

এ সময় তিনি ১৭ দফা ইশতেহার পাঠ করেন।  যেগুলো হলো- দুই দশকের অবহেলিত বর্ধিত এলাকার উন্নয়ন করা হবে অগ্রাধিকার ভিক্তিতে সেই সঙ্গে সিটি এলাকা সব সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি এ বর্ধিত এলাকা হবে এ মহানগরীর দৃষ্টিনন্দন ভ্রমণ কেন্দ্র।

নগরীর কলোনিগুলোর নামকরণ করা হবে সিটি রাজমহল। প্রত্যেকটিতে থাকবে বহুতল ভবন আর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য থাকবে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র।

কাশিপুর, রূপাতলী ও আমানতগঞ্জকে উপশহর এবং বাইপাস সড়ক করা হবে। আবাসনহীন নগরীর সব গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। মসজিদ-মাদরাসা, মন্দির ও গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সিটি করপোরেশন থেকে অতীতের যে কোনো সময়ের থেকে অধিক বরাদ্দ দেওয়া হবে। বরিশাল নগরী হবে দেশের সব থেকে নিরাপদ ও শান্তি নগরী। দখলবাজ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দমনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ড্রেনেস ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করে নগরীর শতভাগ জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে শিশুদের খেলার মাঠ ও দৃষ্টিনন্দন পার্ক নিমার্ণ করা হবে। সরকারি সুবিধা ব্যতিত অসচ্ছল কর্মহীনরা পাবে সিটি ভাতা। নগরীর সব স্থানে সড়ক বাতি স্থাপন করে রাতের নগরীকে করা হবে আলোকিত। শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতির মান উন্নয়নে সিটি করপোরেশন অতীতের যে কোনো সময়ের থেকে অধিক বরাদ্দ দেওয়া হবে। নগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

এছাড়া নগর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হবে। ছোট থেকে বহুতল যে কোনো ভবনের প্লান দেওয়া হবে এক সপ্তাহের মধ্যে। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থাপন করা হবে অভিযোগ বক্স। আমি নির্বাচিত হলে বিসিসির এ অভিযোগ বক্সের সব অভিযোগ লিপি মেয়র হিসেবে নিজে তদারকি করবো। দখল দূষণে হারিয়ে যাওয়া যাওয়া নগরীর সব খালের পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে। সব প্রকার নাগরিক কর সহনশীল পর্যায়ে রাখা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২৩
এমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।