ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

পৌর নির্বাচন

এমপিদের প্রচারণার সুযোগ না রাখার দাবি বিএনপির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
এমপিদের প্রচারণার সুযোগ না রাখার দাবি বিএনপির ছবি: ইকরাম-উদ দৌলা- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণায় সুযোগ না রাখার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।  
 
রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।



তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন ১৫ দিন পেছানোর দাবি জানিয়েছি। একই সঙ্গে দলের মহাসচিবসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোনোভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে না পারেন, সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। জবাবে সিইসি জানিয়েছেন, নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে এমপিদের প্রচারণার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
 
ওসমান ফারুক বলেন, আগামী জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। তাই নির্বাচন পেছানো দরকার। আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই বলে সিইসি জানিয়েছেন। আমরা বলেছি, জনস্বার্থের জন্য আইন। তাই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মতো সাংবিধানিক সংস্থা আইনি বেড়াজালে থাকলে তা কমিশনের জন্য অস্তিত্বের সংকট তৈরি করবে। তাই ইসিকে সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আইনের সংশোধন করতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইসিকে তার অবস্থান দৃঢ় করতে হবে।
 
জাতীয় পার্টি (জাপা) ও আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে এমপিদের সুযোগ দেওয়া দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে ওসমান ফারুক বলেন, জাপা এই দাবি কিভাবে করলো, এতে অবাক হয়েছি। তবে সরকারি দল করতেই পারে। কিন্তু আমাদের দাবি জনস্বার্থে। এক্ষেত্রে মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণায় সুযোগ দেওয়া যাবে না। এছাড়া তারা টেলিফোন, মোবাইল বা অন্য কোনোভাবে যেন নির্বাচন প্রভাবিত করতে না পারে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। সিইসি আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। আশা করি তিনি ইতিবাচক ব্যবস্থাই নেবেন।
 
ওসমান ফারুক আরও বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। ধরপাকড় করা হচ্ছে। এই অবস্থায় নির্বাচন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এছাড়া দলের মহাসচিবসহ নেতাকর্মীরা জেলে বন্দি রয়েছে। তাদের মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থাও নিতে হবে। অনথ্যায় নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি’র সিদ্ধান্তের পর দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বিএনপির শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাবে কি না।

এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে সিইসি কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের সঙ্গে ড. ওসমান ফারুকের নেতৃত্বে বিএনপির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে বসেন।

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সামছুজ্জামান দুদু, ক্যাপ্টেন (অব.) সুজা উদ্দিন, এস এম আবদুল হালিম, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়েরুল কবির খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫/আপডেট ১৫২২ ঘণ্টা, ১৬০৪ ঘণ্টা
ইইউডি/আরএইচএস/আরএম

** এমপিদের প্রচারণার সুযোগ দাবি আ’লীগের
** ইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দল

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।