ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে যেন আচরণবিধি প্রতিপালন করা হয় এজন্য অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে নির্দেশনা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী।
নির্দেশনায় পৌরসভা নির্বাচনী আচরণবিধিমালার বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে বলা হয়- দলীয় প্রধানের নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে বাধা নেই। তবে কোনো পথসভার নামে জনসভা, জনগণের অসুবিধা হয় এমন কোনো স্থানে পথসভা করা যাবে না। একই সঙ্গে গাড়িবহরও নেওয়া যাবে না।
এক্ষেত্রে বলা হয়েছে- যানবাহন সহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল কিংবা অন্য কোনো প্রকারের মিছিল না করতেও বলা হয়েছে।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়ায় প্রচারণায় যেতে পারছেন না। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাকে গাড়িবহর ছাড়াই প্রচারণায় নামতে হবে।
এদিকে, দলের নেতারা প্রচারণায় যেতে পারলেও সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে দলীয় প্রধান বা দলের কোনো ব্যক্তি যেন প্রচারণায় না যান সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল তিন সিটি করপোরেশেন নির্বাচনের সময় গাড়িবহর নিয়ে প্রচারণায় যাওয়ায় রাজধানীর বেশ ক’টি স্থানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। এজন্য তাকে (খালেদা জিয়াকে) সতর্কও করেছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ।
জেসমিন টুলী জানান, এ নির্বাচনে ২০টি দল প্রার্থী দিয়েছে। যার প্রত্যেকটির দলীয় প্রধানকেই আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য বলা হয়েছে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানা যায়, এ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে- আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা), বিএনপি, জাসদ, বিকল্পধারা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), বিএনএফ, এনপিপি, পিডিপি, খেলাফত মজলিশ, এলডিপি, বাসদ, সিপিবি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও ন্যাপ।
নির্দেশনায় দলগুলোকে নির্বাচন আচরণবিধিমালার একটি করে কপি জুড়ে দেওয়া হয়।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৫ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য ব্যক্তিরা প্রচারণায় যেতে পারবেন।
বাংলাদেশে সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৫
ইইউডি/আইএ