ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া থেকে: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের ঘোষণার পর থেকেই ভোটাদের মধ্যে ভোট ও নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা ও খোশগল্প। প্রার্থীদের দৌড়ঝাপের পাশাপাশি ধীরে ধীরে ভোটের মাঠও গরম হতে শুরু করেছে।
চায়ের দোকান, দলবদ্ধ হয়ে হাঁটার সময় অথবা শীতের সকালে রোদে দাঁড়িয়ে সবার মুখেই এখন নির্বাচনের আলোচনা। আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে মার্কা ও প্রচারণা শুরুর ক্ষণ।
মার্কা আসলেই ভোটের মাঠ গরম হবে বলে মনে করছেন সবাই। এছাড়া প্রথমবারের মতো পৌর নির্বাচন হতে যাচ্ছে দলীয় প্রতীকে, এ নিয়েও রয়েছে উত্তেজনা।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও এলাকা ঘুরে ভোটার ও প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে উঠে আসে এমন চিত্র।
আখাউড়া পৌর ভবন, সড়ক বাজার পার হয়ে কলেজ মাঠ এলাকায় প্রবেশ করতেই কথা হয় আব্দুর নূর, মুর্শেদ মিয়া, হাবিবুর রহমানসহ অনেকের সঙ্গে।
তারা বলেন, এহনোতো তো মার্কা আয়ে (আসে) নাই। এইজন্য মাঠ গরম অইতাছে (হচ্ছে) না। মার্কা আয়লেই ভোটের মাঠ গরম অইবো (হবে)।
চতুর্থবারের মতো (উপ-নির্বাচনসহ) এ পৌরসভায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ভোটে মোট সাতজন মেয়র, কাউন্সিলর পদে ৪২ ও নারী কাউন্সিলর পদে নয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছেন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর এ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
৫নং ওয়ার্ডে প্রবেশ করতেই মালদার পাড়া এলাকা থেকে দলবেঁধে বাজারে দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন আবদুল হান্নান, বজলুর রহমানসহ কয়েকজন।
আসন্ন পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতেই বজলুর রহমান বলেন, আমরা নির্বাচনের গল্পই করছিলাম। কিন্তু এখনও মার্কা না আসায় সেভাবে জমে ওঠেনি নির্বাচনী প্রচারণা। তবে মাঠ ধীরে ধীরে গরম হচ্ছে।
চায়ের দোকানে নির্বাচনের গল্পে মেতে উঠেছেন আবদুল হক ও কুদ্দুস মিয়া। তারা জানালেন, মার্কা আসলেই কারও চোখে ঘুম থাকবো না। সবাই মেতে উঠবে নির্বাচনের জোয়ারে। এখন শুধু মুখে মুখে নির্বাচন।
চার নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদ পাড়া এলাকার জামাল মিয়া বলেন, মার্কা আইলে সময়টা গম গম করবো। তহন (তখন) সবাই মাঠে ভোট নিয়াই ব্যস্ত হইয়া পরবো।
ভোট এলেই মাইকের দোকানে ভিড় ও ব্যস্ততা দেখা যায়। কিন্তু এখনও সেই ভিড় ও ব্যস্ততা নেই আখাউড়া পৌরসভার মাইকের দোকাগুলোতে। দোকানিরা জানান, মার্কা অইবো (হবে), পোস্টার ছাপানোর পর আমাগো দোকানে ভিড় দেখা যাইবো।
সীমান্তবর্তী এ পৌরসভা ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে। ‘খ’ শ্রেণির এ পৌরসভার মোট ভোটার ২৪ হাজার ৭শ ৪৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৩শ ৭১ জন ও নারী ভোটার ১২ হাজার ৩শ ৭৫ জন। ওয়ার্ড সংখ্যা ৯টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
একে/এসএস