বগুড়া: শেষদিনে বগুড়ার নয় পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও জাতীয় পার্টির দুই মেয়র প্রার্থী ও ৪৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
মেয়র পদে ধুনট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আল আমিন তরফদার ও সান্তাহার পৌরসভায় জাতীয়পার্টির আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী শেষদিনে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় ধুনট ও শিবগঞ্জ পৌরসভায় ২টি ওয়ার্ডে দুই জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর পদে জয়ের পথে রয়েছেন। তারা হলেন- ধুনট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আলী ও শিবগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে আব্দুল মতিন প্রামাণিক।
সবমিলে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে নয় পৌরসভায় মেয়র পদে লড়াইয়ের মাঠে থাকলেন মোট ২৯ জন প্রার্থী। এরমধ্যে রয়েছেন বগুড়া পৌরসভায় ৩জন, কাহালুতে ৩জন, ধুনটে ৩জন, শেরপুরে ৪জন, গাবতলীতে ৪জন, সান্তাহারে ২জন, সারিয়াকান্দিতে ৪জন, শিবগঞ্জে ৩জন এবং নন্দীগ্রামে ৪ জন প্রার্থী।
আর নয়টি পৌরসভায় সাধারণ কাউন্সিলর পুরুষ পদে ৪৩জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় এখন প্রার্থী রয়েছেন ৩৪৫ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩জন প্রত্যাহার করায় ১১০জন প্রার্থী রয়েছেন।
রোববার (১৩ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।
সদরের মতিয়ুর রহমান, শিবগঞ্জের একেএম জাকির হোসন, ধুনটের মো. আলমগীরসহ নয়টি পৌরসভায় নির্বাচনী কাজে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
তারা বাংলানিউজকে জানান, বগুড়া পৌরসভায় মেয়র পদে ৩জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও কেউ প্রত্যাহার করেননি। এই পৌরসভায় ২৫জন পুরুষ কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। বর্তমানে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন পুরুষ ১০৬ জন এবং নারী ৩৪জন।
গাবতলী পৌরসভায় কোনো মেয়র প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। কাউন্সিলর পুরুষ পদে ২জন প্রত্যাহার করায় ৩৪জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে কেউ প্রত্যাহার না করায় ৮জন প্রার্থী রয়েছেন।
কাহালু পৌরসভায় মেয়র পদে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। পুরুষ কাউন্সিলর পদে ৩জন প্রত্যাহার করায় ২৯জন এবং সংরেক্ষিত নারী প্রার্থী কেউ প্রত্যাহার না করায় ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নন্দীগ্রাম পৌরসভায় মেয়র পদে কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। পুরুষ কাউন্সিলর পদে ২জন প্রত্যাহার করায় ২৬জন ও নারী কাউন্সিলর পদে কেউ প্রত্যাহার না করায় ১১জন নির্বাচন করবেন।
শেরপুর পৌরসভায় মেয়র পদে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। কাউন্সিলর পদে পুরুষ ২জন প্রত্যাহার করায় ৩৫জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ২জন করায় ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ধুনট পৌরসভায় মেয়র পদ থেকে আওয়ামী লীগের আল আমিন তরফদার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। পুরুষ কাউন্সিলর পদে ৩জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় ২৪জন ও সংরক্ষিত নারী প্রার্থীদের কেউ প্রত্যাহার না করায় ১২জন প্রার্থী এ পদে রয়েছেন। তবে ২নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় মোহাম্মদ আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন।
সারিয়াকান্দি পৌরসভায় মেয়র পদে কেউ প্রত্যাহার করেননি। একইভাবে কাউন্সিলর পদে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় পুরুষ প্রার্থী ২৭জন ও ও সংরক্ষিত প্রার্থী হিসেবে ১৪জন মহিলা প্রার্থী কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে লড়বেন।
শিবগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে কেউ প্রত্যাহার করেননি। পুরুষ কাউন্সিলর পদে ৪জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় ২৬জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় ৮জন প্রার্থী রয়েছেন। এই পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আব্দুল মতিন প্রামাণিক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছে।
সান্তাহার পৌরসভায় মেয়র পদে জাতীয় পার্টির আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কাউন্সিলর পদে পুরুষ ২জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ৩০জন প্রার্থী রয়েছেন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় ১২জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
এমবিএইচ/বিএস