ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

৯৮ পৌরসভা নির্বাচন

১০০ মেয়র ও ৩২৫ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

কান্ট্রি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
১০০ মেয়র ও ৩২৫ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

ঢাকা: ৯৮টি পৌরসভা নির্বাচনে ১০০ মেয়র ও ৩২৫ কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।



বাংলানিউজের ডিস্ট্রিক্ট ও উপজেলা করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো খবর:

ভোলা: ভোলা সদর, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন পৌরসভা নির্বাচনে দুই মেয়র ও ১৭ কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

মেয়র প্রর্থীরা হলেন দৌলতখান পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর হোসেন ও ইকবাল হোসেন বাবু।

অপরদিকে, বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় চার নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কাসেম, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের মাঈনুল হোসেন, শাজাহান ও হুমায়ুন কবির, সাত নম্বর ওয়ার্ডের বিল্লাল হোসেন, গিয়াস উদ্দিন ও হুমায়ুন করিব, সাত, আট ও নয় নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত  নারী কাউন্সিলর প্রার্থী সহিদা আক্তার এবং চার, পাঁচ ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শিরিনা ‍আক্তার নিজ নিজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

এছাড়াও এ তিনটি পৌরসভা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আটজন প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুর রশীদ এমরান তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ২টায় তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সফিউল আলম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু নিজের প্রার্থি‍তা প্রত্যাহার করেছেন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার রোকনুজ্জামানের কাছে প্রত্যাহারপত্র দাখিল করেন তিনি। ‍

এর আগে শনিবার উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে, দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দুই কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তারা হলেন তিন নম্বর ওয়ার্ডের শরিফুল ইসলাম ও চার নম্বর ওয়ার্ডের মহিবুল ইসলাম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থী শেখ বোরহান উদ্দিন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি আখাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বদর-উদ-দোজা বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।

বরিশাল: বরিশালের বানারীপাড়া ও মুলাদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাঁচ বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ওয়ার্কার্স পার্টির মেয়র প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) স্ব স্ব রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কপি জমা দেন তারা।

বরিশালের সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফা বেগম বাংলানিউজকে জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারী ছয়জনের মধ্যে তিনজন মুলাদী ও তিনজন বানারীপাড়া পৌরসভার।

তারা হলেন, বানারীপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাহ আলম ও ওয়ার্কার্স পার্টির মন্টু লাল কুণ্ডু।

অন্যদিকে, মুলাদী পৌরসভার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী দেলোয়ার হোসাইন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. দিদারুল আহাসান খান ও এম. আজিজ।

এছাড়াও ২৬ জন সাধারণ ও তিনজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
 
হিলি (দিনাজপুর): দিনাজপুরের হাকিমপুর পৌরসভা নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও চার কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
 
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন তারা।
 
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সুমন খন্দকার, পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল আলিম, সাত নম্বর ওয়ার্ডের সামসুল হক, আট নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুস সাত্তার, নয় নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তাফিজুর রহমান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।  
   
গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় চার মেয়র প্রার্থী ও এক কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় একজন মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তারা।

গোবিন্দগঞ্জের আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মুকিতুর রহমান রাফি ও উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম এবং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুরি মোর্শেদা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদ।

এছাড়া সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান মুক্তা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।


ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও, পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন ও কাউন্সিলর পদে সাতজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে মনোয়নপত্র প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন, বিএনপি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী গোলাম সারোয়ার রঞ্জু, জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হাকিম জিহাদী, রাণীশংকৈলে বিএনপির প্রার্থী শাজাহান আলী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইফতেখার আলম।  

অপরদিকে পীরগঞ্জ পৌরসভা থেকে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন উপজেলা জামায়াতের আমির নজরুল ইসলাম।

ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিসার আফম ফজলে রাব্বি ও পীরগঞ্জ রিটার্নিং অফিসার শুকুর মাহামুদ মিয়া বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
 
জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের তিন পৌরসভায় পাঁচ মেয়র প্রার্থী, ছয় কাউন্সিলর ও একজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
 
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত নিজ নিজ উপজেলার নির্বাচন কমিশনারের কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন তারা।  
 
জয়পুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নন্দলাল পার্শী, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাজ্জাদ-বিন আলীম, কালাই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হেলাল উদ্দিন মোল্লা, সতন্ত্র প্রার্থী তোজাম্মেল হোসেন তালুকদার এবং আক্কেলপুর পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহিম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
   
পাবনা: পাবনার সাত পৌরসভার মধ্যে পাঁচ পৌরসভায় দুই মেয়র প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

এছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ১৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার সময় পাবনা সদর উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, পাবনা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

অপরদিকে, ফরিদপুর পৌরসভায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এমদাদুল হক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

নওগাঁ: নওগাঁ সদর পৌরসভা নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইফতারুল ইসলাম বকুল।

এছাড়া নওগাঁ সদর পৌরসভায় চারজন ও পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভা থেকে দু’জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।  

প্রার্থিতা প্রত্যাহরের শেষ দিন (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান স্ব স্ব নির্বাচন কর্মকর্তারা।

রাজবাড়ী: রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী, গোয়ালন্দ ও পাংশা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ চার মেয়র প্রার্থী ও ১৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তারা নিজ নিজ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ড. সৈয়দা নওসীন পূর্নিনী বাংলানিউজকে জানান, রাজবাড়ী পৌরসভায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্গজ ঘোষ জানান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্র্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম সুজ্জল ও একজন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

পাংশা উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাজারুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র ওয়াজেদ আলী মন্ডল ও  তার ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা ইদ্রিস আলী মন্ডল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

এছাড়া ১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

বরগুনা: পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে বরগুনার তিনটি পৌরসভা থেকে চারজন মেয়র ও চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) স্ব স্ব পৌরসভার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থিরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।  

এরা হলেন বরগুনা পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বিদ্রোহী প্রার্থী  হুমায়ন কবির, কাউন্সিলর পদে এ নম্বর ওয়ার্ডের মাহমুদুল হাসান রিপন, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলাম শামিম।

বেতাগী পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান খান ও বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুজ্জামান মিলন। এছাড়াও কাউন্সিলর পদে দুই নম্বর ওয়ার্ডের লিটন দাস।

পাথরঘাটায় মেয়র পদে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মনিরুজ্জামান ও কাউন্সিলর পদে নয় নম্বর ওয়ার্ডের নাসির উদ্দিন সোহাগ।

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের ছয় পৌরসভায় মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী  তাদের মনোনয়নপত্র প্রথাহার করেছেন।

এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে দুইজন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

উল্লাপাড়া পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফয়সাল কাদির রুমি, রায়গঞ্জে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও বেলকুচিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক মিয়া।

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভা নির্বাচনে কোনো মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলেও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রিটার্নিং অফিসার লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পিরোজপুর: পিরোজপুর ও স্বরূপকাঠি পৌরসভা নির্বাচনে নয়জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
পিরোজপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরিফুর হক  ও পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।   

রংপুর (বদরগঞ্জ): রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বাবলু মহন্ত নামে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার জি এম সাহাতাব উদ্দিন বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।

চান্দিনা (কুমিল্লা): কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে দুই মেয়র প্রার্থী ও দুই কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাসুদুল হক বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

এরা হলেন- মেয়র পদে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী জয়নাল আবেদীন এবং কাউন্সিলর পদে ছয় নম্বর ওয়ার্ডের আতর আলী ও সাত নম্বর ওয়ার্ডের আলী হোসেন।

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি সদর ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে দুইজন মেয়র, চারজন সাধারণ কাউন্সিলর ও একজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

এরা হলেন-মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ধীমান খীসা এবং দীপায়ন চাকমা। কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন-খাগড়াছড়ি পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম, আট নম্বর ওয়ার্ডের চন্দর কুমার দে এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী সুরভী খীসা।

এছাড়া মাটিরাঙ্গা পৌরসভায় আট নম্বর ওয়ার্ডের তহিদুল ইসলাম এবং আলী হাসান নয়ন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

মাটিরাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. নুরুল আলম এবং খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাঙামাটি: রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে ৭ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

যশোর: যশোরের ছয় পৌরসভায় তিনজন মেয়র প্রার্থী, একজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ২৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।  
 
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন তারা।
  
এদের মধ্যে সদর উপজেলায় পাঁচজন কাউন্সিলর প্রার্থী, কেশবপুরে একজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ও দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থী, নওয়াপাড়া পৌরসভায় দুইজন মেয়র ও ১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী, মণিরামপুরে তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থী, বাঘারপাড়ায় একজন মেয়র ও চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং চৌগাছায় কাউন্সিলর পদের দুইজন রয়েছেন।  

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা মেয়র প্রার্থীরা হলেন- নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র পদের প্রার্থী সরদার ওলিয়ার রহমান ও এসএম মশিয়ার।
 
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় বিএনপির বিদ্রোহী দুই প্রার্থী, জাসদের একজন ও দুই স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।  
 
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী বশিরুল আলম চাঁদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

জেলা রিটানিং অফিসার মুজিব উল ফেরদৌসের কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন তিনি।
 
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা মেয়র প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া পৌরসভায় জাসদ মনোনীত প্রার্থী জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, ভেড়ামারা পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শামীম রেজা ও একই পৌরসভার স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম, খোকসা পৌরসভায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনিসুজ্জামান।
 
জেলা রিটার্নিং অফিসার মুজিব উল ফেরদৌস জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে পাঁচ মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

চাঁদপুর: চাঁদপুরের পাঁচ পৌরসভায় চার মেয়র প্রার্থী ও ৩১ কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) প্রার্থীরা স্ব স্ব উপজেলার রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় তিনজন মেয়র প্রার্থী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল খায়ের পাটোওয়ারী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমাম হোসেন ও জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
 কুমিল্লা: কুমিল্লার চার পৌরসভায় পাঁচ মেয়র ১৭ কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে দাউদকান্দি পৌরসভায় তিন ও চান্দিনা পৌরসভায় দুইজন রয়েছেন।

তারা হলেন দাউদকান্দি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র ভিপি আবদুস ছাত্তার, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহজাহান ও জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী অহিদুর রহমান এবং চান্দিনায় জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী জয়নাল আবেদীন।

কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে দাউদকান্দি পৌরসভায় দুই, চৌদ্দগ্রামে চার, বরুড়ায় নয় এবং চান্দিনায় দুইজন রয়েছেন।

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী শেখ বোরহান উদ্দিন আহাম্মদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তিনি আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

জেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আলাউদ্দিন আল-মামুন বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।

ধুনট(বগুড়া): বগুড়ার ধুনট পৌরসভা নির্বাচন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রর্থী আল-আমিন তরফদার।

মেয়র প্রার্থী আল-আমিন তরফদার বর্তমান পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ধুনট উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য।

চাঁদপুর: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের দুই মেয়র পদপ্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এরা হলেন-ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল খায়ের পাটওয়ারী এবং জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মো. সফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী।

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার দু’টি পৌরসভায় তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এরা হলেন-সাতক্ষীরা পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আনারুল ইসলাম, কলারোয়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ফুল মিয়া ও সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলিনুর রহমান।

চুয়াডাঙ্গা: পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে চুয়াডাঙ্গার চারটি পৌরসভায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে সাত জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

এদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় তিনজন, আলমডাঙ্গা পৌরসভায় একজন, দর্শনা পৌরসভায় একজন ও জীবননগর পৌরসভায় দুইজন রয়েছেন।

বরগুনা: দলের মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে বরগুনার বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনে থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান খান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: দলের মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন  বিএনপির বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আব্দু।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ সদর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া বিকল্পধারার মেয়র প্রার্থী ফারুক আহমেদ খান তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী দুই মেয়র প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।  
   
সরে দাঁড়ানো দুই মেয়র প্রার্থী হলেন- রায়পুর পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম লিটন এবং রামগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র বেলাল আহমেদ।  
 
নড়াইল: নড়াইল পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

সরে দাঁড়ানো দুই প্রার্থী হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আঞ্জুমান আরা। এছাড়া, এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আশিকুর রহমান বেগ ও দুই নম্বর ওয়ার্ডে কামাল হোসেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।   

এদিকে, কালিয়া পৌরসভায় এক নম্বর ওয়ার্ডে উৎপল কুমার ঘোষ, দুই নম্বর ওয়ার্ডে রাজিব কুমার দাস, তিন নম্বর ওয়ার্ডে রবিউল ইসলাম ও সাত নম্বর ওয়ার্ডে রাসেল বিশ্বাস মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের তিন পৌরসভায় পাঁচ মেয়র প্রার্থী, ছয় কাউন্সিলর ও একজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
 
জয়পুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নন্দলাল পার্শী, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাজ্জাদ-বিন আলীম, কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান বাবুল, নাজমুল হক সবুজ, অশোক কুমার ঠাকুর, মঞ্জুরুল ইসলাম ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী সাফিনা আক্তার রুমা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।
 
কালাই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হেলাল উদ্দিন মোল্লা, সতন্ত্র প্রার্থী তোজাম্মেল হোসেন তালুকদার, কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হান্নান ও আব্দুল হাকিম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। আক্কেলপুর পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহিম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কেন্দুয়া উপজেলা পৌরসভায় মেয়র পদে দুই জন বিদ্রোহী প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়াও নেত্রকোনা পৌরসভায় চার নম্বর ওয়ার্ডে একজন, কেন্দুয়ায় তিন নম্বর ওয়ার্ড থেকে দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী প্রার্থীরা হলেন- কেন্দুয়ায় আ.লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী আল আমীন কোকিল ও দুর্গাপুরে বিএনপি দলীয় মো. আতাউর রহমান ফরিদ। সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন প্রত্যার করেছেন-নেত্রকোনা পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ফয়সাল আহম্মেদ সাদ্দাম ও কেন্দুয়ায় তিন নম্বর ওয়ার্ডের কামাল হোসেন কর্নাল ও মো. রাসেল রহমান।

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের চারটি পৌরসভায় মেয়র পদে দুইজন ও কাউন্সিলর পদে ১৫ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মেয়র পদে দুইজনই শৈলকুপা পৌরসভার।

এরা হলেন- আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. রেজাউল ইসলাম ওরফে রাজু ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. খলিলুর রহমানের স্ত্রী মোছা. রিজিয়া সুলতানা।

এছাড়া কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন- শৈলকুপা পৌরসভার সাধারণ কাউন্সিলর পদে জিল্লুর রহমান, সাইদুল ইসলাম, আজমত আলী শেখ, হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার সাধারণ কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান, লিটন হোসেন, সাইদুর রহমান, হাশেম আলী, ইউনুচ আলী, লাল্টু মিয়া, রেজাউল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর সাহেরা বেগম ও জাহানারা খাতুন। কোটচাঁদপুর পৌরসভায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে মেহেদী হাসান এবং মহেশপুর পৌরসভায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনিরুল ইসলাম।

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে চার কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী রিয়াজ মাহমুদ ও সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আনসার আলী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে দুইজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এরা হলেন- এক, দুই, তিন নম্বর ওয়ার্ডের জাহানারা পারভীন ও ফাতেমা বেগম।

নোয়াখালী: নোয়াখালীর চার পৌরসভার মধ্যে তিন পৌরসভায় এক নারী প্রার্থীসহ সাতজন মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

এরা হলেন- চৌমুহনীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী  আজিজুল বাসার স্বপন, চাটখিল পৌরসভার বিএনপি প্রার্থী মোস্তফা কামাল, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বেলায়েত হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজিলতুল নেছা, মাওলানা সাইফুল্লাহ এবং বসুরহাট পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুর রহমান রিপন।

নওগাঁ: নওগাঁ সদর পৌরসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইফতারুল ইসলাম বকুল।

এছাড়া নওগাঁ সদর পৌরসভায় চার জন ও পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভায় দুই জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

এছাড়া সদর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বজরুল রহমান দুলাল, তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াসিন আলী দেওয়ান, চার নম্বর ওয়ার্ডের ফিরোজ আহম্মেদ ফিজুর ও নয় নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দুলু প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

নজিপুর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইব্রাহিম আলী ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রমজান আলী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

সৈয়দপুর (নীলফামারী): নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভা নির্বাচনে জাসদের মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম  তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

এছাড়া এক, দুই ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী শাহলুনা বেগম এবং ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সফিকুল ইসলাম, আট নম্বর ওয়ার্ডের সাদেকুল ইসলাম ও নয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

এদিকে, সৈয়দপুর পৌরসভায় দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর  প্রার্থী আনোয়ার হোসেন, চার নম্বর ওয়ার্ডের মোজাহারুল ইসলাম, আট নম্বর ওয়ার্ডের বেলাল আহমেদ এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের  ইদ্রিস আলী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

জামালপুর: জামালপুরের মাদারগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোশারফ হোসেন লেমন তালুকদার তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

এদিকে, ইসলামপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী প্রভাষক খলিলুর রহমান তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

ফেনী: ফেনীর তিন পৌরসভায় নয়জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এদের মধ্যে ফেনী পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাজ্জাদ হোসেন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা বেগম রয়েছেন।

এদিকে, দাগনভূঞা পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিন ও রফিক উদ্দিন, চার নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কাশেম এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলাম রাজু ও জিয়াউর রহমান জিয়া তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এছাড়া পশুরাম পৌরসভায় সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মরিয়ম আক্তার ও শিলু হক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী। এছাড়া তিন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫
পিসি/আরএ

** নারীর প্রতীক এবার মোড়া, পানপাতা, পদ্মফুল
** প্রতীকে প্রচারণা শুরু সোমবার, শেষ ২৮ ডিসেম্বর
** বিদ্রোহীকে দলের হুমকির অভিযোগ আমলে নেবে ইসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।