ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

বিএনপির আশা

পৌর নির্বাচনে কলঙ্কমোচন করবে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
পৌর নির্বাচনে কলঙ্কমোচন করবে ইসি বিএনপি‌‌র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার খন্দকার মাহবুব উদ্দিন খোকন

ঢাকা: বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবগুলো নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাই পৌরসভা নির্বাচনে সে কলঙ্ক মোচনের সুযোগ এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি‌‌র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার খন্দকার মাহবুব উদ্দিন খোকন।


 
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইসি সচিবালয়ের পৌর নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের বাধা প্রদান সংক্রান্ত অভিযোগ দাখিলকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
 
খোকন বলেন, এই কমিশন যতোগুলো নির্বাচন করেছে তার প্রত্যেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাদের সময় আর খুব বেশি নেই। তাই পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে কলঙ্ক মোচনের এখনই সময়।
 
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে নির্বাচন কমিশনারদের বক্তব্য শুনে মনে হয়, তারা আর মাথা নত করতে চান না। তারা একটা শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে চান। আশা করি, তারা সরকারের চাপের মুখে মাথা নত করবেন না। গণমাধ্যমে যেভাবে কথা বলছেন, সেভাবেই দেশবাসীকে একটি নিরপেক্ষ, সন্ত্রাসমুক্ত, সরকারের প্রভাবমুক্ত পৌর নির্বাচন উপহার দেবেন। তারা এবার কলঙ্কমোচন করবেন।
 
বিএনপির এ আইনজীবী নেতা দলের পক্ষ থেকেই ইসিতে এসেছেন মন্তব্য করে অভিযোগ করেন, চাটখিলে আমাদের মেয়র প্রার্থী মোস্তফা কামালকে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্ব প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছে। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে প্রত্যাহারপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীনের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছেন তিনি। একইসঙ্গে মোস্তফা কামালের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
 
এদিকে প্রার্থিতা জোর করে প্রত্যাহারের অভিযোগ তুলে মোস্তফা কামাল নিজেও সিইসির কাছে অভিযোগপত্র দিয়েছেন। তিনি এতে লিখেছেন- ‘চাটখিল পৌরসভায় আমি বিএনপির মনোনিত একজন প্রার্থী। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকেই সন্ত্রাসীরা তা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলো। ১৩ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের দিন ‘সরকার দলীয় অস্ত্রধারী’ সন্ত্রাসীরা বাড়ি ঘিরে রাখে এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করে’।
 
‘এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবরার হোসেনকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া নোয়াখালীর জেলা প্রশাসককে খন্দকার মাহবুব নিজে ফোন করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এরপর প্রত্যাহারের সময় শেষ হলে (বিকেল ৫টা) অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা জোর করে প্রত্যাহারপত্রে আমার স্বাক্ষর নেয়। এরপর রাত দশটার দিকে আমাকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়’।
 
অন্যদিকে প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য করার অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কাছে যে অভিযোগুলো আসছে, সেগুলো খতিয়ে দেখছি। এছাড়া গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এজন্য একটি মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে।
 
তিনি আরো বলেন, কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসেনি। এলে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেবো। এক্ষেত্রে প্রথমে ব্যবস্থা নেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপরও আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য কমিশনের যে এখতিয়ার আছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশে সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
ইইউডি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।