ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

পৌরসভা নির্বাচন

নারী উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি মহিলা প্রার্থীদের

রফিকুল আলম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
নারী উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি মহিলা প্রার্থীদের

ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট পৌরসভার নির্বাচনে নারীদের উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

ধুনট পৌর এলাকার একাধিক ভোটার জানায়, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, যৌতুক, বাল্যবিবাহ, দুঃস্থ নারীদের পুনর্বাসনসহ নারীর উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট ও দোয়া চাইছেন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা।



১, ২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী রেনুকা পারভীন (আঙ্গুর) বলেন, এলাকার বেশির ভাগ লোক দরিদ্র ও অশিক্ষিত। এলাকায় যৌতুক, বাল্যবিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা খুব বেশি। এখান থেকে এসব সমস্যা দূর করতে প্রার্থী হয়েছি।

এ ওয়ার্ডের প্রার্থী মদিনা খাতুন (গ্যাসের চুলা প্রতীক) বলেন, দুস্থ নারীদের পুনর্বাসনে কাজ বরবো। অনেক সময় সালিশ বৈঠকে পুরুদের প্রভাবের কাছে অসহায় বোধ করেন নারীরা। এই বৈষম্য দূর করে নারীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।

একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফিরোজা খাতুন (মৌমাছি) বলেন, গত পাঁচ বছর আগে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে দুঃস্থ নারীদের জন্য অনেক কাজ করেছি, তাদের আরও সেবা করতে এবারও নির্বাচন করছি।

৩, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শিল্পি খাতুন (কাঁচি) বলেন, পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের অধিকার আদায় করতে আমি প্রার্থী হয়েছি। নারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে বিভিন্ন সময় কাজ করতে গিয়ে নানা প্রতিকূলতায় পড়তে হয়েছে। পুরুষেরা যতই নারীর মর্যাদার কথা বলুন না কেন, তারা সর্বদা নারীকে বৈষম্যের চোখে দেখেন।

৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর শিউলি বেগম বলেন, তার এলাকার বেশির ভাগ লোক হতদরিদ্র। তাদের জন্য কেউ কাজ করেন না। পুনরায় নির্বাচিত হলে নারীসহ এলাকার অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করবেন।

একই ওয়ার্ডের প্রার্থী আলেকা বেগম (ভ্যনিটি ব্যাগ) বলেন, আমি বিজয়ী হতে পারলে নারী সমাজের নিরক্ষরতা দূরিকরণ ও পুঁজি গঠনের লক্ষ্যে সঞ্চয়ে দুঃস্থ নারীদের উদ্বুদ্ধ করব।

আরেক প্রার্থী মালতি খাতুন (মৌমাছি) বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্যের অভিজ্ঞতাই আমাকে নারী সমাজের নেতৃত্ব দিতে উৎসাহিত করেছে। দুঃস্থ নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তিই তার প্রধান নির্বাচনী অঙ্গীকার।

এবার ধুনট পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৯১৬ জন। এর মধ্যে নারী ৫ হাজার ১০ জন এবং পুরুষ ৪ হাজার ৯০৬ জন। এবার তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১২ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫ 
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।