ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

আরচণবিধি ভঙ্গের শোকজ প্রার্থীকে, মন্ত্রী বাদ!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
আরচণবিধি ভঙ্গের শোকজ প্রার্থীকে, মন্ত্রী বাদ!

ঢাকা: ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণার অভিযোগ উঠলেও শোকজ পেলেন কেবল প্রার্থী।
 
নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী, প্রার্থীর পক্ষে মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেন না।


 
এরপরও নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের বিষয়ে ওই দুই মন্ত্রী বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। যা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। আর ইসির পত্রিকা মনিটরিং কমিটি তা উপস্থাপন করলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিয়ে জানানোর জন্য ফুলপুর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
 
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা তদন্ত করে হাসানুল হক ইনু ও মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা পাননি। কেবল আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচন পূর্ব সময়ে প্রচারণার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে সত্যতা পেয়েছেন। এজন্য আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শশদাস সেনকে শোকজ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সুব্রত পাল। যার প্রতিবেদন তিনি ইসিতেও পাঠিয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানান, পত্রিকা মনিটরিং কমিটির প্রধান রকিব উদ্দীন মন্ডল।
 
সুব্রত পাল প্রতিবেদনে বলেছেন, পত্র-পত্রিকায় তথ্যমন্ত্রী ও ধর্মমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আচারণ বিধি ভঙ্গের যে অভিযোগ এসেছে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। ওই এলাকায় নির্বাচনী সমাবেশের পাশ দিয়ে দুই মন্ত্রী তাদের গন্তব্য স্থলে যাচ্ছিলেন তখন তাদেরকে ডেকে কিছু বক্তব্য দিতে বলেন প্রার্থী। ফলে দুই মন্ত্রী বক্তব্য রাখেন। তবে ওই বক্তব্যে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের মতো কিছু ছিল না।
 
এ বিষয়ে জানতে সুব্রত পালকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
 
এদিকে নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি রোববার প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানা গেছে।
 
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ অন্তত ১২ এমপির বিরুদ্ধে আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন পাঠানোর কথা রয়েছে।
 
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২শ ৩৪ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে ৯শ ২৩ ও কাউন্সিলর পদে ১১ হাজার ১শ ২২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রায় ৭২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
ই‌ইউডি/বিএস 

** ইনু-মতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বললো ইসি
** সত্যতা পেলে নাসিম ও ৩ এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।